কক্সবাংলা ডটকম(১৪ সেপ্টম্বর) :: কেউ ভুল করে নিজের অজান্তে, কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে করে। সে যেটাই হোক এখন থেকে সেই ভুল তথ্য দেয়ার দিন শেষ। অনেক করদাতা আছেন যারা বিবরণীতে জেনে-বুঝে আয় গোপন করার চেষ্টা করেন। আবার কিছু করদাতা যেসব খাতে কর প্রযোজ্য হবে, তা ভুলবশত রেয়াত হিসেবে দেখান। আয়কর বিবরণীতে আয়, বিনিয়োগ, সম্পদ আর রেয়াতের ভুল তথ্য দিলেই তা ধরা পড়বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রিটার্ন প্রসেসিং টুলসে।
এনবিআরের কর অঞ্চল-১০ এই নতুন টুলস উদ্ভাবন করেছে। এ টুলসের মাধ্যমে কর অঞ্চল-১০-এর প্রায় ৬০ হাজার করদাতার রিটার্ন যাচাই করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রিটার্নে ফাঁকি ও ভুল উদঘাটন করা হয়েছে।
সম্প্রতি এনবিআরে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উদ্ভাবন পরিকল্পনার প্রথম সভায় রিটার্ন প্রসেসিং টুলস প্রতিটি কর অঞ্চলে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর্মকর্তা জানান, রিটার্ন প্রসেসিং টুলস প্রতিটি কর অঞ্চলে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শিঘ্রই এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে করফাঁকি রোধ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।
নতুন এই টুলসের বিষয়ে এনবিআরের আরেক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি কর অঞ্চলে জনবল কম থাকায় হাজার হাজার বিবরণী যাচাই সম্ভব হয় না। ফলে অনেক করদাতা ফাঁকি দিতে ভুল তথ্য দিলে বা ভুলবশত ভুল তথ্য দিলেও ধরা পড়ে না। তবে এই নতুন টুলসের ব্যবহার হলে সহজেই সব করদাতার দাখিল করা বিবরণী যাচাই করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এ টুলসে কর বিবরণীতে দেওয়া করদাতার আয়, ব্যয় ও সম্পদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অটো হিসাব চলে আসবে। এতে কোনো ভুল থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা ধরিয়ে দেবে। করদাতা কর কম দিলে অটো একটি চিঠি প্রিন্ট হয়ে বের হয়ে আসবে। সংশ্লিষ্ট সার্কেলের উপ কর কমিশনার সই করে করদাতাকে পাঠিয়ে দেবেন।
তিনি জানান, রিটার্ন ফাইল যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় করদাতা যেসব খাতে কর অব্যাহতি নেই সেসব খাতে অব্যাহতি দেখিয়েছেন। আবার অনেকেই জেনে-বুঝে করযোগ্য আয় ও সম্পদ দেখালেও কর দেননি। অনেকেই ভুলবশত করযোগ্য আয়কে অব্যাহতি দেখিয়েছেন এমন অসংখ্য কর বিবরণী আমরা পেয়েছি। অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়ার পর ভুল স্বীকার করে কর পরিশোধ করেছেন। আবার অনেকেই চ্যালেঞ্জ করে জবাব দিয়েছেন।
