কক্সবাংলা ডটকম(১৩ নভেম্বর) :: দীর্ঘ দুই বছর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়।
সকালের দিকে জনসমাগম কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে লোকজন। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় সমাবেশের আশে পাশের এলাকা।
এর আগে আদালতে গিয়ে সরকারি দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন বেগম খালেদা জিয়া। এতে তৃণমূল কর্মীরা আশার আলো ফিরে পান। সেটার প্রতিফলন গতকাল সমাবেশে ঘটিয়েছে বিএনপি।
কিন্তু জনসমাগমের দিকে থেকে সমাবেশ সফল মনে হলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে গঠনমূলক বা আশানুরুপ দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী রূপরেখা দেবেন বলে জনগণকে বলে আসছিল। গতকালের সমাবেশে কোনো নির্বাচনী রূপরেখা দিতে পারেননি।
সমাবেশে বেগম জিয়া নির্বাচনী গণসংযোগ বাড়াতে মুখরোচক বক্তব্যের পাশাপাশি বার বার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে করার আহ্ববান জানালেও আগামী নির্বাচনের কোনো দিকনির্দেশা দেননি।
সংবাবিধানের বাইরে গিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ।|এই একই কথা তিনি ২০১৩ সালেও বলে ছিলেন। ২০১৭ সালে এসেওে তিনি একই কথা বলছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিএনপি সেই আগের অবস্থানেই পড়ে রয়েছে।
এর আগে ১৯৯৪ সালে সংকটময় পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা নির্বাচনী রূপরেখার দিয়েছিলেন। যার আলোকেই পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এখনো নির্বাচন রূপরেখা প্রশ্নে বিএনপি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।
বিএনপি দীর্ঘদিন পর রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে। অব্যাবস্থাপনা, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের নির্দেশনাহীন বক্তৃতাসহ সমাবেশ নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল সেখানে। বিএনপির এমন সমাবেশের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও বড় পরিসরে একটি সমাবেশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই আওয়ামী লীগের সমাবেশ হতে পারে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) স্বীকৃতি দেওয়া উপলক্ষে ১৮ নভেম্বর সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।
ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগের সব শীর্ষ নেতাই উপস্থিত থাকবেন ওই সমাবেশে। আর ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের কেউ কেউ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন।
দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, বিএনপির সমাবেশের পাল্টা জবাব হবে ১৮ তারিখের সমাবেশ। সমাবেশে সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হবে, যা হবে বিএনপির সমাবেশে উপস্থিতির কয়েকগুন বেশি। আর এই সমাবেশ থেকেই বিএনপির সমাবেশের করা বিভিন্ন অভিযোগের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। বিএনপির শোডাউনের পাল্টা শোডাউন হবে ১৮ নভেম্বরের আওয়ামী লীগের সমাবেশ এমনটাই জানান ওই নেতারা।
Posted ১:০৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta