নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(১২ ডিসেম্বর) :: বঙ্গপোসাগরের করালগ্রাসে ভিটে-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব প্রায় পরিবারগুলোর খবরা-খবর কেউ রাখেনি। সহায়-সম্বল হারানো ছিন্নমূল পরিবারগুলো কোথায় কিভাবে জীবন নিয়ে যুদ্ধ করছে বা তারা এখনো বেচেঁ আছে কিনা তাও জানেনা কেউ।
যদিও সরকারি পৃষ্টপোষকতায় বান্দরবন পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার গয়াল মারা নামক স্থানে কুতুবদিয়া-মহেশখালী উপকূলের ৭৭ পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়।
পুনর্বাসিত ৭৭ পরিবারকে আলাদাভাবে হোল্ডিং নাম্বারও দেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপকূলের কিছু পরিবার সেখানে বসতি গড়তে পারলেও গয়ালমারায় অবস্থানকারী বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতিকারী স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় প্রভাব বিস্তার করার কারনে এখনো বেশীরভাগ পরিবার সেখানে বসতি স্থাপন করতে পারেনি।
এইদিকে ছিন্নমূল পরিবারগুলোর সংগঠন উপকূলীয় ভাই ভাই কৃষি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.জে. ছৈয়দ কুতুবী জানান, সম্প্রতী রোহিঙ্গাদের সাথে কিছু অংশ গয়াল মারায় উপকূলের মহেশখালী-কুতুবদিয়া দ্বীপের পুনর্বাসিত ৭৭ পরিবারের নির্ধারিত জমির উপর অবৈধ বসতি স্থাপন করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি স্থানীয় ও উচ্চ পর্যায়ে জানানো হলেও কোন সুফল পাননি। রোহিঙ্গাদের অবৈধ দখলের কারনে পুনর্বাসিত ৭৭ পরিবারের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী খোরশেদ আলম জানান, গয়াল মারা এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বহিরাগত দুষ্কৃতিকারী মহেশখালী-কুতুবদিয়া উপকূলের পুনর্বাসিত পরিবারগুলোকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় অসহায় পরিবারগুলো সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করতে পারছে না। যে কারনে অসহায় বাস্তু-ভিটাহীন পরিবারগুলোকে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। বিষয়টি নজরদারী করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এদিকে পুনর্বাসিত ৭৭ পরিবারের সকল সদস্যকে একত্র করতে উদ্যোগ নিয়েছে উপকূলীয় ভাই ভাই কৃষি সমবায় সমিতির সদস্যদের নিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর এক জরুরী সভার আহবান করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সকল সদস্য/ওয়ারিশগনকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিন্মোক্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি অতীব জরুরী।
Posted ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta