কক্সবাংলা ডটকম(১৪ মার্চ) :: তিনি ব্ল্যাক হোল থিয়োরির আবিষ্কর্তা৷ এই শতাব্দীর সেরা বিজ্ঞানী৷ কিন্তু নোবেল পুরস্কার তাঁকে কোনওদিন ধরা দেয়নি৷ বারবার উঠেছে এই প্রশ্ন৷ এমন এক বিজ্ঞানী নোবেল থেকে বঞ্চিত থাকবেন কেন? আজ একই প্রশ্ন আবার একবার উঠল৷ কেন নোবেল পেলেন না স্টিফেন হকিং?
অনুরাগীদের কাছে হকিংয়ের নোবেল না পাওয়া হতাশার বিষয়৷ বিজ্ঞানীরাও যে হতাশ নন, তা নয়৷ কিন্তু তাঁদের হাত পা বাঁধা৷ নোবেলের কয়েকটি নিয়মকানুন রয়েছে৷ সেগুলি মানতে গেলে হকিংকে ব্রাত্যই রাখতে হয়৷
স্টিফেন হকিংয়ের ব্ল্যাক হোল থিয়োরি সমগ্র বিশ্বকে টলিয়ে দিয়েছিল৷ কালো গহ্বর তত্ত্ব যখন হকিং দিয়েছিলেন, বিজ্ঞানীমহল নড়েচড়ে বসেছিল৷ তত্ত্ব নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ তত্ত্ব কারোর আয়ত্ত্বে আসেনি৷ বোধগম্য হয়েছে অনেকেরই৷ কিন্তু যাচাই করার উপায় নেই৷ আর যদি না যাচাই করার উপায় থাকে, তাহলে নোবেল পুরস্কার অধরাই থেকে যায়৷ স্টিফেন হকিংয়ের সঙ্গেও এই কাণ্ডটাই ঘটেছে৷
জানিয়েছেন টিমোথি ফেরিস৷ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে দা সায়েন্স অফ লিবার্টি নামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল৷ সেখানেই একথা জানিয়েছেন টিমোথি ফেরিস৷ তিনি বলেছেন, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কালো গহ্বর নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়৷
তবে যদি কোনওদিন ব্ল্যাক হোল নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়, তাহলে নোবেল পুরস্কার নিয়ে হকিংয়ের বরাত খুলবে৷ হয়তো মরোণোত্তর নোবেল পাবেন হকিং৷ কিন্তু তার জন্য কোটি কোটি বছর সময় লাগবে৷ যতদিন না প্রথম ব্ল্যাক হোল বিস্ফোরিত হচ্ছে, ততদিন এনিয়ে কোনও যাচাই সম্ভব নয়৷
ততদিনে হয়তো স্কুলের পাঠ্যবইয়ে চলে আসবে হকিংয়ের জীবনকাহিনী৷ অথবা কয়েক আলোকবর্ষ দূরে কোনও নক্ষত্র বা গ্রহের নাম রাখা হবে তাঁরই নামে৷
Posted ১১:১৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ মার্চ ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta