আব্দুল হামিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি (২৯ অক্টোবর) :: কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জুমছড়ি গ্রামের গরীব অসহায় হতভাগী খতিজা বেগম (৫০) জুহুরা বেগম (৫২) ও রশিদা বেগম (৪৬)। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তারা তিন বোনেই স্বামী হারা বিধবা, নাই কোন পুত্র সন্তান। তিন বোনেই পরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে চলছে তাদের জীবন সংগ্রাম।
এরেই মাঝে তাদের বাপ দাদার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এক একর ৩ শতক জমি দীর্ঘ ৩৫ বছরের দখলিয়া বসতবাড়ি দখলে নিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই ইউনিয়নের পূূর্ব জুমছড়ি গ্রামে সবত আলীর।
স্থানীয় রমজান আলী জনান সবত আলীর এক আত্বিয় রামু ভূমি অফিসে চাকরি করার সুবাদে কৌশলে অসহায় এ তিন মহিলার বসতভিটা সবত আলী ও তার স্ত্রী ফিরুজা বেগমের নামে গোপনে বন্দোবস্তি করান।
সে হইতে বিষয়টি গোপন রাখেন তারা। সম্প্রতি উক্ত জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে কৌশলী এ সবত আলী। এর ধরাবাহিকতায় তিনি জমি উদ্ধারে রামু থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি জানতে পারেন বিধবা তিন মহিলা খতিজা বেগম ও অপর দুই বোন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকায় চলছে টান টান উত্তেজনা যেকোন মহুর্তে সংঘর্ষের আশংকা করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খতিজা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমাদের এই বসতভিটা ছাড়া আর কোন জায়গা জমি নেই। ব্রিটিশ আমলে দাদা ও পাকিস্তান আমলে আমার বাবা এই বসতভিটাতে ছিল এবং বাবার নামে আর এস ও এম আরা আছে। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এই বসতভিটাতে আমরা শান্তিপুর্ণ ভাবে দখলে আছি। সরকার কোন সময় এই জমি খাস করছে আমরা জানি না।
জুহুরাা বেগম জানান আমরা ভূমিহীন অসহায় দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এ জায়গাতে আমরা তিন বোন বসবাস করে আসছি এবং বর্তমানেও আছি। একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ফিরুজা বেগম ও বৃত্তশালী সবত আলী নিজেদের ভূমিহীন পরিচয়ে এই জমি গোপনে বন্দোবস্তি করান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সবত আলী জানান সরকারের কাছ থেকে গত ২০০১ সালে খাস জমি বন্দোবস্তি করেছি এবং আমি ও আমার স্ত্রীর নামে বি এস খতিয়ান হয়েছে যেকোন কৌশলে দখল করব। এ বিষয়ে অসহায় বিধবা জুহুুরা, খতিজা ও রশিদা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
Posted ৬:১৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta