হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(২৫ মে) :: সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার মেন্যুতে নানা মুখরোচক খাবার রোজাদারদের কাছে খুব প্রিয়। যার জন্য ইফতার আয়োজনে যোগ হয় বিভিন্ন বাহারি আইটেম। দীর্ঘ বছর ধরে সচেতন রোজাদারদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে রামুর গর্জনিয়া বাজারের হোটেল জালাল।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও রুচিশীল রোজাদারদের কথা মাথায় রেখে এখানকার ঐতিহ্যবাহী জালাল হোটেল আয়োজন করেছে স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার।
২৫মে শুক্রবার বিকালে ওই হোটেলের ইফতার পসরায় গিয়ে দেখা যায়, চোখ ধাধাঁনো সাজ। ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে তৈরি করা হয়েছে নান্দনিক ছামিয়ানা। এর নিচে পরিপাটি করে ধুলোমুক্ত বক্সে সাজানো হয়েছে লোভনীয় নানা ইফতার।
এসব খাবারের প্রতি নজর পড়ে প্রধান সড়ক ও উপ সড়ক থেকেই। দুপুরের পর থেকে এখানে ক্রেতাদের ভীড় বাড়তে থাকে। আগত ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেন বিক্রয়কর্মীরা। প্রায় ২০ রকম খাবার নিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে জালাল হোটেলের ইফতার মেন্যু।
এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে চিকেন ফ্রাই, ডিম ফ্রাই, আলুর চপ, পিয়াজু, পাকুরা, সবজি বড়া, সিঙ্গারা, সমুচা, চিকেন স্টিক, বেগুনি, মরিচা, ছোলা, কাপ দই, ফিরনি, শাহী জিলাপী, স্পেশাল গাওয়া ঘি, স্পেশাল মাটন ও চিকেন হালিম। যার দামও স্বাদ ও স্বাধ্যের মধ্যে রয়েছে।
এখানে ইফতার কিনতে আসা কচ্ছপিয়া যুবলীগ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন সোহেল, ব্যাংকার আবু হান্নান, ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম শিক্ষক ইয়াছমিন আক্তার জানান, প্রতি রমজানে ওই হোটেল থেকে পছন্দের আইটেম গুলো তারা কিনে নিয়ে যায়। এখানকার ইফতার পরিবারের সবার পছন্দ। তাই কোন কিছু না ভেবে জালাল হোটেলে চলে আসি।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে খাবার জগতে সুনামের সাথে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। খাবার জগতে ক্রেতাদের আস্থা ও ভালবাসার অন্যতম প্রতীক জালাল হোটেল।
গর্জনিয়া বাজার জালাল হোটেলের ব্যবস্তাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন জানান, ক্রেতাদের ভালবাসায় এই প্রতিষ্ঠান অনেকদুর এগিয়ে এসেছে। ভালবাসার অটুট এই বন্ধন ধরে রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর। ব্যবসার আগে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ্য।