হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(১৭ আগস্ট) :: রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংঘঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে কোন প্রকার দলের জাতীয় কর্মসুচি ও স্থানীয় পর্যায়ে নেতা কর্মীদের সংঘটিত করে কোন দলীয় কার্যক্রম না করায় ইতিমধ্যে ওই দলটি গর্জনিয়া থেকে প্রায় বিলুপ্তি পথে।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সরজমিনে বিএনপির তৃণমুল পর্যায়ে নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল আলিম ও সেক্রেটারী হাজী মহিবুল্লাহর দলীয় অদক্ষতা ও দ্বিমুখি আচরনের কারনে গর্জনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ইতিমধ্যে জন মানব শুন্য অকার্যক প্রতিষ্টানে পরিনত হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড়ের সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ সহ শতাধিক নেতা কর্মী জানান, তাদের ইউনিয়ন বিএনপির নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে অলস ও ভিতু মন মানসিকতার নেতার কারনে এলাকায় দলীয় অবস্থা এমন হয়েছে।
ওই এলাকার মিজান, রফিক সালাম, সেলিম সহ ১০/১৫ জন বিএনপি কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায় গর্জনিয়া ইউনিয়নে আগমী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির এমন অবস্থা হলে, দলের হাল ধরার কোন লোক খুজে পাওয়া যাবে না।
নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, গেল ২/৩ বছর ধরে গর্জনিয়াতে বিএনপির কোন দলীয় কর্মসুচি পালন করা হয়নি। যার কারনে খোদ নিজের দলীয় লোকদের মাঝে বিরুপ প্রভাব লক্ষ করা গেছে। এই ব্যাপারে কথা বলতে গর্জনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল আলিমের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল চেয়ারম্যান জানান, তারা দলকে নতুন করে ঢেলে সাজাবে। আর দলীয় নেতা কর্মীদের আবারও সুসংঘটিত করবে।
রামু ককসবাজার ৩ আসনের সাবেক সংসদ লুৎফুর রহমান কাজল জানান, তারা দলের ঝিমিয়ে পড়া নিয়ে খোজ খরব রাখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।