বিচারের জন্য যিশুকে রোমান রাজ্যপাল পন্টিয়াস পিলাতের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন তাঁর বিরুদ্ধে রাজদ্রোহ, সিজারকে রাজস্বদানে বাধা ও নিজেকে রাজা ঘোষণা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। পিলাত ইহুদি সমাজপতিদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী যিশুর বিচার ও শাস্তিদানের অনুমতি দেন। কিন্তু ইহুদি সমাজপতিরা জানান রোমান আইন অনুযায়ী তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুমতি নেই ।

তাছাড়া পিলাত নিজেও যিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ও ইহুদি বিচারকদের জানালেন যে তিনি যিশুকে শাস্তিদানের কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। যিশু গালিলের লোক জেনে তিনি তখন গালিলের শাসক রাজা হেরোদের উপর যিশুর বিচারের ভার ছেড়ে দেন। হেরোদ তারণোৎসব ভোজসভা উপলক্ষে সেই সময় জেরুজালেমেই ছিলেন।

হেরোদ যিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনও উত্তর না পেয়ে পুনরায় যিশুকে পাঠিয়ে দিলেন পিলাতের কাছে। পিলাত সমাজপতিদের জানালেন যে তিনি বা হেরোদ কেউই যিশুকে দোষী মনে করছেন না। শেষে পিলাত সমস্যা সমাধানের জন্য যিশুকে শুধুমাত্র চাবুক মেরে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখলেন ।

তারণোৎসব ভোজসভার রীতি অনুযায়ী ওই দিন ইহুদিদের অনুরোধক্রমে রোমানরা একজন বন্দীকে ছেড়ে দিতেন। পিলাত জনসাধারণকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তারা কার মুক্তি চাইছে। প্রধান পুরোহিতের অঙ্গুলি হেলনে জনগণ যিশুর মুক্তি না চেয়ে খুনি অপরাধী বারাব্বাসের মুক্তি চাইল। পিলাত যিশুকে নিয়ে কি করা উচিত সেই ব্যাপারে সকলের মতামত চাইলে সকলেই এক বাক্যে বলল “ওকে ক্রুসবিদ্ধ করুন।” এদিকে পিলাতের স্ত্রী তার আগের রাতে যিশুকে স্বপ্নে দেখেছিলেন। তিনি পিলাতকে সাবধান করে দিয়েছিলেন, এই ধার্মিক মানুষটির কোনও রকম ক্ষতি না করা হয়৷

পিলাত যিশুকে কশাঘাত করে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে আবার সর্বসমক্ষে নিয়ে আসেন। প্রধান পুরোহিত তখন যিশুর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদ্রোহিতার নতুন অভিযোগটি আনলেন। ভয় পেয়ে পিলাত পুনরায় যিশুকে জিজ্ঞাসাবাস করার জন্য ভিতরে নিয়ে যান। জনতার সম্মুখে এসে পিলাত আবার যিশুকে নিরপরাধ ঘোষণা করলেন।তখন তিনি জলে হাত ধুয়ে জানিয়ে দেন, যিশুর বিচারে আর তিনি আর অংশ নেবেন না। তবে সম্ভাব্য দাঙ্গা রুখতে পিলাত জনগণের মত মেনে নিয়ে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার নির্দেশ দেন।ফলে গলগাথায় অপর দুই অপরাধীর সঙ্গে তাঁকেও ক্রুসবিদ্ধ করা হয়৷

(তথ্য সূত্র ইউকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট)