এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(৯ নভেম্বর) :: চকরিয়ায় উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে শতবছরের গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় চলাচলের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়েছে হাজারো জনসাধারণ। পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় দুইটি পরিবারের মধ্যে বিরোধের জেরে একটিপক্ষ দিনদুপুরে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে জায়গা দখলে নেমেছে। এতে অনেকটা জিন্মিদশায় পড়েছেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় ওই এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নস্থ তিন নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যমপাড়া সড়কটি জনসাধারণ শত বছরের যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে অধ্যায়নরত পাঁচটি গ্রামের অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থীসহ বিপুল জনগোষ্ঠী যাতায়ত করে আসছে। বদরখালী-মহেশখালী সড়কের দরবেশ কাটা ষ্টেশন থেকে সড়কটি ওই এলাকার মোজাম্মেল হক চৌধুরী বসতভিটা পর্যন্ত সড়কের দুরত্ব প্রায় সাড়ে চারশত মিটার। বর্তমানে রাস্তাটি প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর একমাত্র চলাচলের পথ।
এলাকাবাসির অভিযোগ, কিছুদিন আগে চলাচলের পুরানো যাতায়তের সড়কটি স্থানীয় আজিজুল হক চৌধুরীর ইন্ধনে তার দুইছেলে আকিদুল হক ও রিয়াজুল হক জুলিয়ান টিনের ঘেরা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। হঠাৎ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী শত শত ছাত্র-ছাত্রীরা বিকল্প পথ দিয়ে যাতায়াতের কারণে চরম বিপাকে ও দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানাগেছে, ২০০৮ ও ২০০৯ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষানাবেক্ষন কর্মসূচির (কাবিখা) বরাদ্ধের অর্থায়নে নির্মিত সড়কটি মেরামত করা হয়। সরকারী বরাদ্দে নির্মিত চলাচল সড়কটি বন্ধ করে দেয়ায় বর্তমানে স্থানীয় জনগনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাবাসির মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রবাসি শাখাওয়াত হোসেন জোসেফ জানান, তার পিতা মোজাম্মেল হক চৌধুরী সাথে একই এলাকার আজিজুল হক চৌধুরী, এস্তেফাজ চৌধুরী ও একরামুল হক চৌধুরীর সাথে পারিবারিক জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে। মুলত ওই বিরোধের জেরধরে শতবছরের যাতায়তের চলাচল রাস্তা বেআইনী ভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ তুলেছেন, চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ রাখার কারণে এলাকার শিক্ষার্থী ও হাজারো সাধারণ জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে অবহিত করার পরও তাঁরা জনগনের জন্য কিছুই করতে পারেনি। এ অবস্থায় জিন্মিদশা থেকে রক্ষা করতে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, এ ধরণের ঘটনার ব্যাপারে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। তবে কেউ যদি সরকারী চলাচল রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে থাকে, তাহলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta