মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া(২৯ অক্টোবর) :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা মন্দির-বসতঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও পিটিয়ে নারীসহ ১২জনকে আহত করার ঘটনায় রবিবার রাতে থানায় ধনরাম ধর বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখপুর্বক অজ্ঞাত বিশজনসহ ২৬জনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামী যুবদল নেতা শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হামলা ও লুটপাট ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলা দায়েরের পর ধরপাড়ার অনেক লোককে অচেনা কিছু ব্যক্তি হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তদবির চলছে পাল্টা মামলা দায়েরের। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ধরপাড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
তবে, ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন কাউকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তে হবেনা। ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া শহিদুল ইসলাম উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দিগরপানখালীর মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
ধরপাড়ায় হামলার পর নিজেকে রক্ষা করতে একটি বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে উক্ত্যক্ত করা হয়েছে অভিযোগ প্রধান শিক্ষক কর্তৃক লিখে এনে কর্তাব্যক্তিদের কাছে ধর্ণা দিতে উপজেলা পরিষদ এলাকায় আসলে জনতার সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহারে বাদি দাবি করেন, শহিদুলের নেতৃত্বে একদল বকাটে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নানাভাবে হুমকি-দুমকি ও মারধর করবে বলে প্রকাশ্যে বলে আসছিলো। রবিবার সকাল ১১টায় আকস্মিক হামলা করে আমাদের উপর।
ওইসময় মন্দিরের স্টোর রুম ও ছাউনি ভাংচুর করে। পরে আমার ঘরে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙ্গে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ২ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকার কাপড়-ছোপড় লুট ছাড়াও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ৫৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এছাড়া আমার স্ত্রী শিখা ধর ও মেয়ে প্রিয়া ধরকে মারধর করা ছাড়াও তাদের শরীর থেকে দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
বাদি ধররাম ধর আরো দাবি করেন, ঘটনার পর হামলাকারীরা আমাদের হুমকি দিয়ে বলে মামলা করলে ঘর পুড়িয়ে দেয়া হবে। পাড়ার লোকজনকে অপহরণ-খুন ও লাশ ঘুম করবে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার পর চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মতিউল ইসলামসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাদি দেয়ার এজাহার মামলা হিসেবে এন্ট্রি করার পর প্রধান আসামী শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Posted ৬:০৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta