এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(২৯ এপ্রিল) :: চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির আয়োজনে ভয়াল ২৯ এপ্রিল স্বরণে গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরের হিলভিউ আবাসিকস্থ সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সভাপতি কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক লায়ন আলহাজ কমরউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ আনোয়ার হোসেন কন্ট্রাক্টর। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম হামিদ হোছাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ হাফেজ আমান উল্লাহ, চকরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি একেএম গিয়াস উদ্দিন। ওইসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হামিদ হোছাইন, অর্থসম্পাদক জাহাংগীর কবির চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নাছির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক আবদুল মান্নান খোকন, দপ্তর সম্পাদক মিনারুল ইসলাম, কার্যকরি সদস্য সালাহউদ্দিন, ওসমান, ওলীদুল আজিম ও শহীদুল ইসলাম টিপু।
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ২৭বছর আগে ১৯৯১সালের এইদিনে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে নেমে আসে মহাপ্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড়। সর্বনাশা তান্ডবে ধংস হয়ে যায় উপকুলের মানব সভ্যতা। মৃত্যু ঘটে হাজারো মানুষের। সেই দিনের মহাপ্লাবনে গৃহপালিত পশু, মৎস্য সহায় সম্পদসহ মাথা গুজানোর ঠাঁই ঠুকুও হারায় হাজার হাজার পরিবার। রাস্তাঘাট, বনজ সম্পদসহ নানা ক্ষেত্রে ঘটে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি।
বক্তারা বলেছেন, ঘুর্ণিঝড়ের পর ২৭টি বছর সময় অতিক্রম হলেও ক্ষতিগ্রস্থ জনগন এখনো নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেননি। বছরঘুরে দিনটি প্রতিবছর জনগনের সামনে উপস্থিত হলেও এতদিন ভাগ্য বদল হয়নি এতদাঞ্চলের মানুষের। উপকুলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড়ে সামাজিক নিরাপত্তার অন্যতম উৎস হচ্ছে সাইক্লোন শেল্টার গেল ২৭ বছরে পর্যাপ্ত পরিমাণ নির্মিত হয়নি। বর্তমানে যেসব সাইক্লোন সেল্টার আছে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হতশ্রী ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সর্বনাশা ঘুর্ণিঝড়ের পর উপকূলবাসীকে রক্ষার জন্য সরকার ও এনজিও সংস্থার বেড়িবাধের পাশে প্যারাবন (সবুজ বেষ্টনী) গড়ে তুললেও এখন বেশিরভাগ উজাড় হয়ে গেছে। অপরদিকে কিছু লোভী চিংড়ি চাষি উপকূলীয় এলাকার সবুজ বেষ্টনী (প্যারাবন) উজাড় করে চিংড়ি ঘের করে যাচ্ছে।
এখনো অরক্ষিত রয়েছে উপকুলীয় জনপদের অন্যতম নিরাপত্তা বেস্টনী বেড়িবাঁধ সমুহ। এ অবস্থার কারনে দুই উপজেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ এখনো ঘুর্ণিঝড় আতংকে রয়েছেন।
বক্তারা বলেন, উপকুলীয় জনপদের জনগনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইক্লোন সেল্টার ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এইজন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
Posted ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta