শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

চলছে ভোটের প্রস্তুতি ,নজরে নির্বাচনকালীন সরকার

শনিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
309 ভিউ
চলছে ভোটের প্রস্তুতি ,নজরে নির্বাচনকালীন সরকার

কক্সবাংলা ডটকম(৮ সেপ্টেম্বর) :: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে, নাকি ভোটের তারিখ নতুন বছরে গড়াবে— তা নিয়ে আলোচনা চলছে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের কথা জানিয়ে বক্তব্য রাখলে এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

তবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে বিকল্প হিসেবে ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারির কথাও চিন্তায় রাখছে কমিশন। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে ইসির।

জানা যায়,বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাবে সংসদের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। সে হিসেবে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সরকারকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। ফলে এখনো নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে প্রায় দুই মাস সময় হাতে রয়েছে সরকারের। অথচ এরই মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। চলমান রাজনীতির প্রধান অনুষঙ্গই হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষয়টি।

বিশেষ করে ‘আগামী ২০ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে’- গত বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এ আলোচনায় আরো গতি পায়। অবশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার কখন হবে, সাইজ কী হবে, আকারে কতটা ছোট হবে, মন্ত্রিসভায় কতজন থাকবে- তা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি ছাড়া আর কেউ জানেন না।’ কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনায় মুখর এখন রাজনৈতিক অঙ্গন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখছে। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি বা তাদের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কোন প্রতিনিধি রাখা হবে কি না এবং এ ধরনের সরকার গঠনে সরকার শেষ পর্যন্ত বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সংলাপে বসবে কি না- এ আলোচনা যেমন হচ্ছে; তেমনি এ সরকারের আকার কেমন হবে, কারা ঠাঁই পাচ্ছেন মন্ত্রিসভায়- জানতে আগ্রহী ক্ষমতাসীনরাও। বিশেষ করে কবে নাগাদ গঠন হতে পারে নির্বাচনকালীন সরকার- তাও জানতে চায় মানুষ।

ফলে নির্বাচনকালীন সরকার ঘিরে কয়েকটি বিষয় আলোচনায় আসছে। এর মধ্যে রয়েছে কবে গঠন হচ্ছে এ সরকার এবং এ সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভাবনা কি এবং সংবিধানে এ ব্যাপারে কি বলা আছে। এমনকি এই সরকার গঠনে বিএনপির দাবিগুলো কতটুকু সাংবিধানিক ও এসব দাবি পূরণে সরকারের ভূমিকা কি হবে- তাও জানতে চান সবাই।

সরকার গঠন কবে : সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন হতে হবে। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে : ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (ক) মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে;’। সে হিসেবে সংসদেও মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই সময়কে বিবেচনায় রেখে ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নির্বাচন প্রস্তুতি : এদিকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীর তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের কথা বললেও বিএনপি ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে প্রার্থী তালিকা রয়েছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এরই মধ্যে তিনশ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ছোট অন্য দলগুলোও বসে নেই, সবাই যার যার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নূরুল হুদার কমিশনের সামনে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোটের সম্ভাব্য সময় ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ‘ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট করা হতে পারে। তবে কোনো টাইম ফ্রেম নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে একটা সময় ধারণা করা হচ্ছে।’

নির্বাচন কমিশনের যত প্রস্তুতি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশনে। গত বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত করা হয়েছে ভোট কেন্দ্রের তালিকা। সংসদীয় আসনের সীমানা অনুযায়ী ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুতির কাজও শেষ। চলতি মাসের মধ্যে নির্বাচনী আইন সংস্কারের কাজও শেষ করতে চায় ইসি। আগামী সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সেই সংশোধিত আরপিও ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলেছেন, অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকারের সময় শুরুর পরে ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে নভেম্বরের শুরুতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি। এরপরে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিলের সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নভেম্বরের শুরুতে বা মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণের জন্য ২৭ ডিসেম্বর বা ৩ জানুয়ারি প্রাথমিক তারিখ চিন্তা করা হচ্ছে। কেননা জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা। এ লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে দুই ধাপের অন্তত ৯০টি কাজ চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী এগোচ্ছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘কমিশনের বৈঠকে ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে ভোট হবে। শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা ও বিশ্ব ইজতেমার সময়কেও বিবেচনায় নেবে কমিশন।

’ ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটের ক্ষণ গণনার শুরু থেকে ফলাফলের গেজেট করা পর্যন্ত অন্তত ৯০টি কাজ চিহ্নিত করে কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তারা। প্রথম ধাপে ভোট কেন্দ্রের তালিকা, পুনর্নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, নির্বাচনসামগ্রী কেনাকাটা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল, প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, নির্বাচনী ম্যানুয়াল তৈরি, মনোনয়নপত্র মুদ্রণসহ আনুষঙ্গিক কাজ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে শেষ করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের কাজ।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ভোটার তালিকার কাজ শেষ হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের খসড়া হয়েছে। দ্রব্যসামগ্রী কেনার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের সভায় এসব কিছুর অগ্রগতি, নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা, আর্থিক বরাদ্দসহ সার্বিক বিষয় আলোচনা হবে।

নির্বাচনী ট্রেনে আওয়ামী লীগ : নির্বাচনী ট্রেনে যাত্রা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য হ্যাটট্রিক বিজয় অর্জন করে দলকে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আনা। এ জন্য চলছে জোর প্রস্তুতি। এর অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতারা যাচ্ছেন জেলা সফরে। ডাকা হচ্ছে বিভাগীয় ও জেলা নেতা এবং মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। সতর্ক করা হচ্ছে বিরোধকারীদের। এ মাসেই শুরু হবে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া।

এ জন্য জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে মতামত নেওয়া হবে। নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য প্রার্থী হয়ে বা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা দলের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করছেন তাদের তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক সম্পাদকদের এই নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও জোটের শরিকদের সঙ্গেও দফারফা করা হবে এ মাসের মধ্যেই।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে দলের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের ডেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে মতামত নেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে একটি করে বিভাগের জেলাগুলোকে একসঙ্গে ডাকা হতে পারে। চলতি মাসেই এই প্রক্রিয়া শুরুর কথা রয়েছে। এর পর তৃণমূল নেতাদের ভোটে তিনজন প্রার্থী নির্বাচন করে কেন্দে  পাঠানো হবে।

এ ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যে জরিপ চালানো হয়েছে তার রিপোর্টও প্রার্থী মনোনয়নে গুরুত্ব পাবে। জরিপ রিপোর্ট, জেলা-উপজেলা নেতাদের মতামত এবং তৃণমূলের সুপারিশ এসব বিবেচনায় নিয়ে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারা বলছেন, আমাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রতিটি নির্বাচনী আসনে দফায় দফায় জরিপ চালানো হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের কাছ থেকে প্রার্থী সম্পর্কে মতামত নেওয়া হবে। এ ছাড়া তৃণমূল থেকে নেতাদের ভোটে তিনজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এর পর পার্লামেন্টারি বোর্ড বসে এই জরিপ রিপোর্ট, জেলা-উপজেলা নেতাদের মতামত এবং তৃণমূলের নেতাদের পাঠানো নামগুলো সমন্বয় করে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে।

এদিকে মাঠের নেতাদের উজ্জীবিত করতে আজ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচার অভিযানে অংশ নেবেন। সকালে ট্রেনযোগে ঢাকা থেকে নেতারা যাবেন নীলফামারী।

এই রেল যাত্রাপথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার অন্তর্ভুক্ত রেলস্টেশনগুলোতে পথসভা করবেন নেতারা। এসব পথসভায় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন এবং নেতা-কর্মীদের নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন।

এর পর ১৩ সেপ্টেম্বর নেতারা নির্বাচনী প্রচার চালাবেন লঞ্চযাত্রার মাধ্যমে। ঢাকা থেকে বরিশালমুখী এই লঞ্চযাত্রার মাধ্যমে প্রচার অভিযান চালানো হবে। এ ছাড়া চলতি মাসেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রোডমার্চ করা হবে।

এই প্রচার অভিযানের সময় পথে পথে সমাবেশ ও পথসভা করা হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী কাজ পুরোদমে শুরু করেছি। চলতি মাসের মধ্যেই সব কাজ গুছিয়ে আনতে চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। এর অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে প্রচারাভিযান শুরু হচ্ছে প্রথমে রেলযাত্রার মাধ্যমে এই কার্যক্রম চালানো হবে। এর পর  লঞ্চযাত্রা ও রোর্ডমার্চ করে প্রচার অভিযান চালানো হবে।’

ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতিতে বিএনপি : ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ বর্জন করা দল বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে তার সবুজ সংকেত রয়েছে। এরই মধ্যে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে প্রার্থী তালিকা পাঠানো হয়েছে। তিনি এগুলো নিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছেন। বিএনপির সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও তরুণ নেতাদের অনেকেই সবুজ সংকেত পেয়েছেন। এর মধ্যে নেতাদের অনেকেই নির্বাচনী মাঠে নেমেও পড়েছেন।

জানা যায়, আগামী ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। ওই দুই দিন সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপি  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আগামী নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তিসহ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। তবে সেখানে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। গণতন্ত্রের নেত্রী ও আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। তিনি আজ অসুস্থ। আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি চাই। তিনি কারামুক্ত হলে আমরা নির্বাচনে যাওয়ার চিন্তা করব। এর আগে সরকারকে জনগণের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী জানান, ‘বিএনপির বিভিন্ন সারির নেতাদের সঙ্গে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ ও মতামত শুনে তা লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে জানানো হবে। পরে তার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বিএনপি।’ এ ছাড়া পরে দলের যুগ্ম মহাসচিব ও বিভিন্ন সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করবেন মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরে বিএনপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। ওই বৈঠকে তৃণমূল নেতাদের মতামত ও পরামর্শ শোনেন দলের সিনিয়র নেতারা। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ও নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বিএনপির মতো বড় দল সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। সবার আগে আমরা গণতন্ত্রের নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তার নেতৃত্বেই আমরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব। তবে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে। জনগণের দাবি মানলেই বিএনপি নির্বাচনের পথে এগোবে।

309 ভিউ

Posted ৩:১২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com