কক্সবাংলা ডটকম :: আগের দিন সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছিল এসি মিলান। ১৬ বছর পর মিলানের চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমিফাইনালে ওঠার পর দিনই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ইন্টার মিলান। আর তাতে ইউরোপীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল মিলান ডার্বিতে রূপ নেয়া নিশ্চিত হয়েছে।
অন্য ম্যাচে সেমিফাইনালে সিটির প্রতিপক্ষ রেয়াল মাদ্রিদ। যারা কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসিকে হারিয়ে উঠে এসেছে শেষ চারে।
বেনফিকার মাঠে প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে কাজ অনেকটা আগই সেরে রেখেছিল ইন্টার। তবে ঘরের মাঠে ইন্টারের জন্য ম্যাচটা যতটা সহজ ভাবা হয়েছিল, মোটেও সহজ ছিল না। ম্যাচের পরিসংখ্যানটা দেখুন, বল পজেশন (ইন্টার ৪০ শতাংশ, বেনফিকা ৬০ শতাংশ), শট (ইন্টার ১১, বেনফিকা ১২), লক্ষ্য শট (ইন্টার ৩, বেনফিকা ৫), কর্নার (ইন্টার ৪, বেনফিকা ৬)-সব কিছুতেই ইন্টারের চেয়ে এগিয়ে বেনফিকা।
তবে ম্যাচের ১৪ মিনিটেই নিকোলা বারেল্লার গোল অনেকটাই নির্ভার করে দিয়েছিল স্যান সিরোর দলটিকে। ৩৮ মিনিটে ফ্রেদরিক অর্সনেসের গোলে সমতায় ফিরেছিল বেনফিকা। ৬৫ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় ইন্টার। গোল করেন ইন্টারের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাওতারো মার্তিনেস। ৭৮ মিনিটে আরেক আর্জেন্টাইন জোয়াকিন কোরেয়া ব্যবধান ৩-১ করলে মনে করা হয়েছিল পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়বে ইন্টার। কিন্তু শেষ দিকে চমক দেখিয়ে দুই গোল পরিশোধ করে বসে বেনফিকা। ৮৬ মিনিটে আন্তোনিও সিলভার পর যোগ হওয়া সময়ে গোল করেন পিটার মুসা।
৩-৩ গোলে ম্যাচটি ড্র হলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে উঠে গেছে ইন্টার। ২০১০ সালে ইউরোপিয়ান কাপ জয়ের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে উঠে আসা এই প্রথম উঠে আসা দলটির।
প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জিতেই সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কাল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে শেষ চারে উঠে গেল পেপ গার্দিওলার দল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে এগিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে উঠল সিটি। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমিফাইনালে খেলবে সিটি।
সেমিফাইনালে সিটির প্রতিপক্ষ রেয়াল মাদ্রিদ। যারা কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসিকে হারিয়ে উঠে এসেছে শেষ চারে।
প্রথম লেগে তিন গোলে পিছিয়ে থাকায় কাল ঘরের মাঠে নাটকীয় কিছু একটা করতে হতো বায়ার্নকে। সেই তাগিদটা দেখা যায় তাদের পারফরম্যান্সে। ঘন ঘন আক্রমণও শানিয়েছে তারা। বিশেষ করে প্রথমার্ধে বেশি কিছু গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধে সিটির চেয়ে বায়ার্নের বল পজেশন ছিল প্রায় দেড়গুন। বায়ার্নের ১০টি শটের ৪টি লক্ষ্যেও ছিল। কিন্তু গোলের খেলা ফুটবলে গোল না পেলে কী চলে! আগ্রাসী বায়ার্নকে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামাল দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
উল্টো ৩৫তম মিনিটে এগিয়েও যেত পারত তারা। বায়ার্ন বক্সে ডিফেন্ডার উপামেকানোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল করতে পারেননি ‘গোলমেশিন’ আর্লিং হলান্ড।
বিরতির পর অবশ্য তার গোলেই এগিয়ে যায় সিটি। প্রতিআক্রমণে উঠে আসা সিটির কেভিন ডি ব্রুইনের কাছ থেকে বল পান হলান্ড। তার সামনে উপামেকানোর ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলে সহজেই বায়ার্ন গোলরক্ষককে পরাভূত করেন নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড। চলতি আসরে এটি ১২তম গোল হলান্ডের। চ্যাম্পিয়নস লিগে ২৭ ম্যাচে ৩৫!
পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধের জন্য মরীয়া হয়ে ওঠা বায়ার্নকে ৮৩ মিনিটে সমতায় ফেরান কিমিচ। সাদিও মানের ক্রস বাইলাইনের কাছে এক সিটি খেলোয়াড়ের হাতে লাগলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। তা থেকে গোল করেন কিমিচ। এর আগে অবশ্য ৭৫ মিনিটে মাথিসের একটি গোল অফসাইডের ফাঁদে বাতিল করে দেন রেফারি।
Posted ১২:১২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta