কক্সবাংলা ডটকম(২ মে) :: চ্যাম্পিয়ান্স লীগে টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেছে হত দুইবারের শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার রাতে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-৩ গোলে হারায় মাদ্রিদের ক্লাবটি। দ্বিতীয় লেগে ২-২ গোলে ড্র হলেও প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ২-১ গোলে জয়ের সুবাধে ফাইনালে পৌঁছে যায় জিদানের দল।ম্যাচটিতে রিয়ালের হয়ে দুটি গোলই করেন করিম বেঞ্জেমা৷
এদিন ম্যাচের শুরুতেই জার্মানির ডিফেন্ডার জসুয়া কিমিখ গোলপোস্ট লক্ষ্য করে নেওয়া কোনাকুনি শট আটকাতে ব্যর্থ থাকেন রামোস৷ দু’মিনিটেই ১-০ এগিয়ে যায় বায়ার্ন৷ তবে বেশিক্ষণ এই ব্যবধান রাখতে পারেনি জার্মানির ফুটবল ক্লাবটি৷ ১০ মিনিটেই দলের হয়ে গোল সংখ্যা সমান করেন রিয়ালের ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জেমা৷ মার্সেলোর ক্রশ থেকে হেডে করে গোল করেন বেঞ্জেমা৷
৩৩ মিনিটে একটি দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল বায়ার্নের জন্য কিন্তু গোলের কাছে বল পেয়েও সুযোগ নষ্ট করেন রদ্রিগেজ৷ কয়েক মিনিট পরই ৩৮ মিনিটে রোনাল্ডোর একটি শট জালে জড়ানো থেকে আটকে দেন বায়ার্নের গোলরক্ষক৷
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একপ্রকার ফাঁকা গোলে বল আরও একবার জালে জড়ান বেঞ্জেমা৷ ৬২ মিনিটে গোল সংখ্যা সমান করেন বায়ার্নের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রদ্রিগেজ৷ ২-২ এ ব্যবধানে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয়৷
এদিকে অন্য সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বে বুধবার মুখোমুখি হবে লিভারপুল ও রোমা। ওই লড়াইয়ের বিজয়ীর সঙ্গে আগামী ২৬ মে ইউক্রেনের কিয়েভে ফাইনালে লড়বে রেকর্ড ১২বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জিদান বলেন,কিয়েভ যাত্রা নিশ্চিত হওয়ার পর কোন কোন দলকে হারিয়ে টানা তৃতীয় ফাইনালে তার দল। সঙ্গে অবশ্য এটা বলেছেন, ফাইনালে গেলেও প্রতিটি দলের বিপক্ষেই অনেক ভুগেছে রিয়াল।
জিদান বলেন, ‘আমরা সব বড় ও শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে খেলেছি। জুভ (জুভেন্টাস), পিএসজি এবং বায়ার্ন সবগুলো প্রায় একই মাপের দল। প্রতিটি ম্যাচে রিয়াল অনেক ভুগেছে কিন্তু তিন ম্যাচেই আমরা জিতেছি। এজন্য আমি খুশি।’
বার্নাব্যুতে গোল পাননি দলের তুরুপের তাস ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে তার অভাব বুঝতে দেননি করিম বেনজেমা। এই বেনজেমাকে প্রথম একাদশে রাখা নিয়েও অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় কোচকে। কিন্তু জিদান বারবারই তার ওপর আস্থা রেখেছেন,মঙ্গলবারও রেখেছিলেন।
স্বদেশী কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। জোড়া গোল করে দলকে শুধু বিপর্যয় থেকেই রক্ষা করেননি, তুলে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।
বেনজেমার প্রশংসা করে রিয়াল কোচ বলেন, ‘বেনজেমাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সে আসলে এটার যোগ্য। আমি তার উপর খুবই খুশি। দিনশেষে ফুটবলটা এমনই। এটা ভালো চেয়েও ভালো।’
জিদানের চোখ এড়ায়নি গোলকিপার কাইলর নাভাসের পারফরম্যান্সও। দুর্দান্ত সব সেভ করে দলকে তো বাঁচিয়েছেন এই কোস্টারিকানও, ‘তিনি দ্বিতীয়ার্ধে কিছু গ্রেট সেভ করেছেন, আমরা খুব খুশি।’
দল যে ভুগেছে কোচের মত সেটা স্বীকার করেছেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস এবং মিডফিল্ডার টনি ক্রুজ।
Posted ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০২ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta