কক্সবাংলা ডটকম(২৯ অক্টোবর) :: নির্বাচনে অংশ নেওয়া আর হচ্ছে না৷ এটা নিশ্চিত হয়েই গেল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কাছে৷ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগে থেকেই পাঁচ বছরের জন্য কারাবন্দি বিএনপি নেত্রী৷
এবারে সেই মামলায় তাঁকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল৷ সেই সঙ্গে তাঁর দল বিএনপি এবার কি নির্বাচন বয়কটের পথেই হাঁটবে উঠে গেল প্রশ্ন৷ কারণ দলনেত্রীর মুক্তি না হলে নির্বাচনে যাবে না বলেই জানিয়েছে বিএনপি৷
সোমবার পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।তবে অসুস্থ বিএনপি নেত্রী রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
রায়ে খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছ চৌধুরীর তখনকার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা কর জরিমানা করা হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে কারান্তরীণ। আট মাসের মাথায় দ্বিতীয় দুর্নীতি মামলার রায়ের মুখোমুখি হলেন তিনি।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন। তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
Posted ১:৪৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta