হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(৩ সেপ্টেম্বর) :: উপজেলার অভিজাত মাদক পল্লী খ্যাত খারাংখালীতে মাদকের চালান খালাস ও চোরাচালানী তৎপরতা এখনো বন্ধ হয়নি।
পুলিশ চোরাইপণ্যসহ এক মহিলাকে আটক করলেও এসবের নেপথ্য নায়ক হাফেজ আহমদ, হারুন ও খালেক সিন্ডিকেট প্রশাসনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তিদের সাথে তাদের গোপন আতাঁতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় টেকনাফ মডেল থানা ও হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি যৌথ অভিযান চালিয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার এজাহার মিয়ার পুত্র হারুনের বসত-বাড়ি ঘেরাও করে।
তখন কৌশলে চোরাকারবারী হারুন পালিয়ে গেলেও পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে মিয়ানমারের তৈরী ৮শ ৫০ প্যাকেট চোরাই সিগারেটসহ তার ভাই জয়নালের স্ত্রী সাবেকুন নাহার সাবুকে আটক করে।
পুলিশ এই ব্যাপারে হারুনকে পলাতক আসামী করে একটি মামলা দায়েরের পর ধৃত মহিলাকে আদালতে প্রেরণ করেন। হোয়াইক্যং ফাঁড়ির আইসি দীপংকর কর্মকার অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, পূর্ব মহেষখালীয়া পাড়ার আবুল হাশেমের পুত্র হাফেজ আহমদ স্থানীয় বিজিবির সোর্স পরিচয় দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার এজাহার মিয়ার পুত্র হারুন,পূর্ব মহেষখালীয়া পাড়ার শাহ আলমের পুত্র আব্দুল খালেকের সমন্বয়ে একটি চোরাই সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
এই হাফেজ আহমদ স্থানীয় বিজিবির সাথে সখ্যতার অজুহাতে চোরাচালানের আড়ালে মাদকের চালান খালাস করে আসছে।
অপরদিকে নয়াবাজার, খারাংখালী দূর্গমবিলের মধ্যবর্তী সীমান্ত হওয়ায় পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া, কাঁচার পাড়া, পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া, পূর্ব মহেশখালীয়াপাড়া ও কম্বনিয়া পাড়ার স্বশস্ত্র বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট গড়ে উঠায় নিরাপদে মাদক চোরাচালান চালিয়ে এলাকাকে ঢাকা শহরের গুলশান, বনানী ও হাতির ঝিলের আদলে গড়ে তুলছে।
আইন-শৃংখলা বাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষন ও অভিযান ব্যাহত করার জন্য দিবা-রাত্রি পাহারা বসিয়ে রেখেছে। আইন-শৃংখলা বাহিনী আগমনের খবর পেলে সবাই স্বশস্ত্র অবস্থায় পাহাড়ে অবস্থান নেয়।
একারণে উক্ত এলাকার মাদক সিন্ডিকেট দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে একাধিক সুত্র হতে অভিযোগ উঠেছে।
Posted ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta