কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৬ সেপ্টেম্বর) :: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় টেকনাফের শীর্ষ রাজাকার কমান্ডার নজির আহমদ প্রকাশ নজির চেয়ারম্যানের অত্যাচার নির্যাতনের গা শিউরে উঠা কাহিনী এখনও টেকনাফের মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হয়।
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও শাহপরীরদ্বীপের মানুষ এখনও এই ঘৃণিত রাজাকার পরিবারের ভয়ে আতংকিত হয়। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সেই শীর্ষ রাজাকারের ছেলে ইসমাঈলের ক্ষমতার প্রভাব নানা কৌশলে অটুট থেকে যায়।
পারিবারিক ধারাবাহিকতায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম রাখে শাহপরীরদ্বীপে। ইসমাঈলের ছত্রছায়ায় তার ভাই জিয়াবুল ও সৈয়দ মূলত শাহপরীরদ্বীপে নানা অপকম চালিয়ে আসছিল। এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করেনা। ইসমাঈলের ছত্রছায়ায় তার ভাই জিয়াবুল ও সৈয়দ প্রতি রাতে শাহপরীরদ্বীপ জেটি এলাকা থেকে মোটা অংকের বিনিময়ে রাখাইনে গিয়ে রোহিঙ্গাদের এপারে নিয়ে আসছে।
রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মালামাল লুট করার পাশাপাশি তাদের উপর অমানবিক আচরণ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা কয়েক ডজন। তারপরও বহাল তবিয়তে ছিল এতোদিন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না সাবেক মেম্বার ইসমাঈলের।
শুক্রবার রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকায় লুটপাট ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহায়তার অভিযোগে সাবেক মেম্বার ও বিএনপি নেতা ইসমাঈলকে আটক করে থানায় সোর্পদ করেছিল কোস্টগার্ড।
শনিবার উক্ত অভিযোগে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দালাল আইনে তাকে ৬ মাসের সাজা প্রদান করেছেন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন খান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অপর একটি সুত্র জানান, টেকনাফের কুখ্যাত রাজাকার নজির আহমদের ছেলে বহু অপকর্মের হোতা ইসমাঈল মেম্বারের আরেক বড় ভাই নিজকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে অফিস আদালতে ক্ষমতার দাপট চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ধৃত মেম্বারের আরেক বড় ভাই এর এক বেয়াই আলোচিত জঙ্গী ও কুখ্যাত ডাকাত সর্দার টেকনাফের আব্দুল হাকিম বলে জানা গেছে।
Posted ৩:৪৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta