হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(৬ ফেব্রুয়ারি) :: হ্নীলায় সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে ছুরিকাঘাত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির জ্ঞান এখনো ফিরেনি। পরিবারের লোকজন এখনো হতাশ হয়ে পড়লেও চিকিৎসকেরা আশা ছাড়েনি।
সুত্র জানায়,৬ফেব্রুয়ারী রাতে চমেক হাসপাতালের আইসিইউওতে আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৬টারদিকে উপজেলার হ্নীলা পশ্চিম সিকদার (মন্ডলপাড়া) পাড়ায় পুকুর পাড় সংলগ্ন বাসা হতে জনৈক ইউনুছের পুকুর পাহারাদার ও দুই সন্তানের জনক মৃত হাজী নাজির আলীর পুত্র প্রকাশ রসুন হাজীর পুত্র মোহাম্মদ ইব্রাহীম প্রকাশ লাল মনিয়া (২৫) কে একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোছন প্রকাশ মাদুর পুত্র আব্দুর রহমান, আব্দুস সালাম দু’ভাই, সালামের স্ত্রী ছমুদা, তার বোন হাসিনা, ফেরদৌসী, ছাম্পা, ছমিরা ও মা খালেদা মিলে বাড়িতে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর পর বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে পুকুরের বাসায় ফেলে দিয়ে আসে বলে আহত মনিয়ার স্ত্রী নুরুচ্ছফা জানান।
খবর পেয়ে আহতের মা হামিদা খাতুন ছেলেকে উদ্ধারের জন্য গেলে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। পরে গুরুতর আহত লাল মনিয়ার অবস্থায় গুরুতর হওয়ায় হামলাকারীরা সটকে পড়ে। তখন আহতের মা ও পার্শ্ববর্তী লোকজন মনিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে কুতুপালং ক্যাম্প হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার আল ফুয়াদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছুরিকাঘাতে লিভার ফুটো হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এদিকে ছুরিকাঘাত যুবকের মা হামিদা খাতুন জানায়,পূর্ব পানখালী হোয়াকিয়া পাড়ার মৃত কামালের পুত্র মোঃ ইউনুছের পুকুরের পাহারাদার হিসেবে লাল মনিয়া চাকরী করে আসছে।
ইয়াবার টাকার গরমে আব্দুর রহমান ও সালামসহ মহিলারা মিলে মনিয়াকে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের পর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
গত ৩দিন ধরে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরপরও হামলাকারীরা আহতের পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে গালমন্দ করে বেড়াচ্ছে।
এই ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার জামাল উদ্দিন,বেদম প্রহার ও ছুরিকাঘাতে মুমূর্ষাবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার সত্যতা স্বীকার করেন।
৬ ফেব্রুয়ারী বিকালে এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বজনেরা।
