হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১৭ সেপ্টেম্বর) :: সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের প্রত্যন্ত এলাকা এবং অলি-গলিতে গড়ে উঠা ভিডিও ডাউনলোডের দোকান সমুহে প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় অশ্লীল ও নীল ছবির রমরমা আদান-প্রদান চলছে। এতেই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষাসহ যুব সমাজ বিপদগামী হয়ে উঠছে।
জানাযায়, উপজেলার ৭টি রেজিষ্টার্ড ও আনরেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প, টেকনাফ পৌর এলাকা, সাবরাং-শাহপরীরদ্বীপ, হ্নীলা, হোয়াইক্যং, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনের অলি-গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা উন্নত মোবাইলে অশ্লীল ছবি, ভিডিও গান, নীল ছবি মেমোরীতে ডাইনলোড করছে।
বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা কম্পিউটার দোকান উচ্চ স্বরে সাউন্ড বাজানোয় শব্দ দূষণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে।
বিভিন্ন স্থানের অভিভাবকেরা জানান, স্কুল-মাদ্রাসা পড়–য়াদের হাতে হাতে উন্নত মোবাইল থাকায় এসব অশ্লীল ছবি লোড করছে। জরুরী ভিত্তিতে ধ্বংসের কিনারায় যাওয়া যুবকদের বাঁচাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা এসব অশ্লীল ডাউনলোড সেন্টার বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জমিরিয়া দারুল কোরআন সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম নূরী জানান, চীনা মোবাইলের প্রভাবে উঠতি বয়সের যুবক-যুবতী ও স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদের বেশীর ভাগই মোবাইলকে মিনি সিনেমা হিসেবে ব্যবহার করায় লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। যেসব দোকানে অশ্লীল ছবির মেমোরী লোড করা হয় সেসব কেন্দ্র চিহ্নিত করে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পরিচালনার দাবী উঠেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত কুমার বড়–য়া বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অশ্লীলতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হবে। এ ক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হোসেন জানান,বিষয়টি আমাদের নজরে ছিলনা। এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই প্রয়োজন। তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ে পুরো উপজেলায় অভিযান চালানো হবে।
Posted ১০:২১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta