হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(২৫ নভেম্বর) :: টেকনাফে পুলিশী অভিযানে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় ৩জন পুলিশ সদস্য আহত ও ইয়াবা কারবারী জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, ইয়াবা ও মূমুর্ষ দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে আহত ব্যক্তি মারা যায়। পোস্টমর্টেম শেষে রাতেই লাশ দাফন করা হয়েছে।
জানা যায়,২৫নভেম্বর রাত আড়াই টারদিকে পুলিশের হাতে আটক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারীকে নিয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ নোয়াখালী পাড়া মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে থানা পুলিশের এসআই শরীফুল (৩৫), কনস্টেবল ছোটন দাশ (২৩) ও মেহেদী হাসান (২১) আহত হয়। পুলিশও আতœরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করে।
কিছুক্ষণ পর মাদক কারবারীরা পিছু হঠলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত ১ব্যক্তি,অস্ত্র ও ২০হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আহত পুলিশ ও রক্তাক্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়ার হাজী নুরুল ইসলামের পুত্র জিয়াউর রহমান (৩৪) বলে পরিচয় নিশ্চিত করে লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, আটক ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৩১নং তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী ও একাধিক মামলার আসামীকে নিয়ে পুলিশ অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
এতে ৩জন পুলিশ আহত হয়। পুলিশও আতœরক্ষার্থে পাল্টাগুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে ইয়াবা কারবারী জিয়াউর রহমান রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্ধ্যারদিকে পোস্টমর্টেম শেষে লাশ বাড়িতে আনা হয়। বাদে এশা স্থানীয় নাজির পাড়া মাঠে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে নিহত জিয়াউর রহমানের পরিবারের দাবী,গত ২০সেপ্টেম্বর সে তাবলীগ জামায়াতে ৩ মাসের জন্য চিল্লায় গমন করেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার একটি মসজিদের তাবলীগ জামায়াত হতে পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোষাকধারী কিছু লোক গত শুক্রবার রাতে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
Posted ১০:১৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta