হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(২৮ অক্টোবর) :: টেকনাফে ব্যাপক কর্মসূচীর মাধ্যমে ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
জানা যায়, ২৮অক্টোবর সকাল ৯টায় টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন মিলনায়তনে ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অধিনায়কের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আছাদুদ জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্ণেল আরেফিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন রামু সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. বায়েজিদ।
এতে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) নাহিদ আদনান তাহিয়ান, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, পৌর মেয়র মোঃ ইসলাম, স্থলবন্দর ডিজিএম জসিম উদ্দিন, পৌর সচিব মহিউদ্দিন ফরায়েজি প্রমুখ ছাড়াও ২ বিজিবির কর্মকর্তা ও সৈনিকগন, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দরবার অনুষ্ঠান শেষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়।
এরপর ব্যাটালিয়ন মাঠে বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়। আয়োজিত প্রীতিভোজের পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ২৭ শে অক্টোবর ময়মনসিংহের খাগডহরে তদানীন্তন ইপিআরের ২ নম্বর উইং নামে এই ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
প্রতিষ্ঠার পর হতে ব্যাটালিয়নের সদস্যবৃন্দ বিভিন্ন অপারেশনাল কর্মকান্ডে অংশ-গ্রহণের পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সম্মুখযুদ্ধে অত্র ব্যাটালিয়নের ২৮ জন সদস্য শাহাদাৎ বরণ করেন এবং বিভিন্ন খেতাব প্রাপ্ত হয়ে আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
এ ব্যাটালিয়ন পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, সিলেট, রামগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলডুমুর, যশোর, নাইক্ষ্যংছড়ি, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, দিনাজপুর এলাকায় দায়িত্ব পালনের পর গত ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর টেকনাফ এলাকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এই ব্যাটালিয়ন তার অনন্য ঐতিহ্য ও দায়িত্ব পালনে ঐকান্তিক নিষ্ঠা এবং দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ গত ১৯৯৯ সালের ২৫ নভেম্বর তারিখে “বাংলাদেশ রাইফেলস্ কালার” লাভ করে। বর্তমান অবস্থানে দায়িত্ব গ্রহনের পর এ ব্যাটালিয়ন দেশের সার্বভৌমত্ব, অখন্ডতা রক্ষা, চোরাচালান ও মাদক পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং মিয়ানমার নাগরিক অনুপ্রবেশ প্রতিহতসহ বন্ধু প্রতিম দেশ মিয়ানমারের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রেখে চলেছে। নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে এ ব্যাটালিয়নের সদস্যবৃন্দ কঠোর নজরদারীর পাশাপাশি দুর্গতদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিজিবি তথা দেশের ভাবমূর্তিকে অনেক উজ্জ্বল করেছে।
অত্র ব্যাটালিয়নের সদস্যগণের বলিষ্ঠ প্রত্যয়, দূর্জয় মনোবল, অসীম সাহসিকতা এবং নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপারেশনাল কর্মকান্ড, চোরাচালান নিরোধ এবং মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ‘‘চ্যাম্পিয়ন ব্যাটালিয়ন’’ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এ ব্যাটালিয়ন সৈনিকেরা গত ২৮ অক্টোবর ২০১৭ইং হতে অদ্যাবধি ৩শ ৩৬কোটি ২৫লক্ষ ৯৩হাজার ৩শ ১৫টাকার চোরাচালানী মালামাল আটক করতে সক্ষম হয়।
Posted ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta