আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এর আগে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি আরপিও সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টির আইনগত ভিত্তি দেবে।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা জানান।
ইভিএম ব্যবহারে ইসির প্রস্তুতির কথা জানিয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার পরিকল্পনা তাদের আছে। সেই লক্ষ্যে দেড় লাখ ইভিএম কেনার একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচনের আগে আইন পাস, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতসহ সবকিছু ঠিক থাকলে সংসদ নির্বাচনের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার মতো সক্ষমতা তাদের থাকবে। তবে, সক্ষমতা থাকলেও কী পরিমাণ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তা বলা যাবে না। এটি কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইভিএম ব্যবহারে আইন পাসের বাধ্যবাধকতার কথা বলে সচিব বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার করার আগে ভিত্তিস্বরূপ আইন দরকার। আগামী ৩০ আগস্ট কমিশন সভায় আরপিও সংশোধন-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর সেটা ভেটিংয়ের (যাচাই-বাছাই) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে। আইন পাস হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে কমিশন। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি হবে না।’
জাতীয় নির্বাচনের পরেই সারাদেশের সব উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেখানেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলেও তিনি জানান।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তথ্য জানিয়ে সচিব বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে অনুযায়ী নির্বাচনি সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে ৮০ ভাগের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।
ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কারণ ব্যাখ্যা করে হেলালুদ্দীন বলেন, জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের স্কুল শুরু হয়ে যাবে। সে সময় নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হবে। তা ছাড়া ডিসেম্বরের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের ছুটিও থাকে।