কক্সবাংলা ডটকম :: তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় চীন বলেছে, এ ফলাফল ‘মূলধারার জনমতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না’।
এদিকে তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) নেতা উইলিয়াম লাই চিং তে জয়ী হওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার এক্সে (সাবেক টুইটার) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ শুভেচ্ছা জানান।
এতে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে দেশটির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যাশা রাখেন।
শনিবারের (১৩ জানুয়ারি) এ নির্বাচনে জয় পান উইলিয়াম লাই চিং-তে।
ফলাফল ঘোষণার পর চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র চেন বিনহুয়া জানান, বিদ্যমান নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন তাইওয়ান প্রণালীর দুইপাশের সম্পর্কের মৌলিক দৃশ্যপট ও অবস্থার পরিবর্তন করবে না।
এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৪ বছর বয়সী লাই চিং-তে প্রায় সাড়ে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অভূতপূর্ব এ ফলাফলে ডিপিপি থেকে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলো। লাই চিং-তে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
অবশ্য স্বাশাসিত দ্বীপটির আইনসভায় পতনের মুখোমুখি হয়েছে ডিপিপি, তারা ৫১টি আসন পেয়েছে। যা প্রধান বিরোধী কুওমিনতাং-এর আসনের চেয়ে একটি কম। আর তাইওয়ান পিপলস পার্টি পেয়েছে আটটি।
চীনের মুখপাত্র চেন বিনহুয়া জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনের ফলাফল তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষাকে পরিবর্তন করবে না এবং চীনের সঙ্গে পুনর্মিলনের অনিবার্যতাকে বাধা দেবে না।
বেইজিং তাইওয়ানকে তার ‘বিচ্ছিন্ন প্রদেশ’ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে ১৯৪৯ সাল থেকে ১৩টি দেশের সঙ্গে সম্পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কে থাকা তাইপেই নিজেদের স্বাধীন বলে দাবি করে আসছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে চেন বলেছেন, তাইওয়ান প্রশ্নের সমাধান এবং জাতীয় পুনর্মিলন বিষয়ে আমাদের অবস্থান সঙ্গতিপূর্ণ। আমাদের সংকল্প পাথরের মতো দৃঢ়।
তাইওয়ানে এবারের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনকে ‘যুদ্ধ ও শান্তির মধ্যে একটিকে বেছে নেয়া’ বলে অভিহিত করেছিল চীন। তবে বেইজিংয়ের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই ক্ষমতাসীনদের ভোট দিয়েছে দেশটির ভোটাররা।
অনেক দিন ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন ও সামরিক আইন চলার পর ১৯৯৬ সাল থেকে তাইওয়ানে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বেছে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার পর থেকে তাইওয়ানে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত আছে।
প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। একজন সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন। এটি তাইওয়ানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের জয়ী হওয়ার মাধ্যমে তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে।
উত্তেজনা আর নানা সমীকরণের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দুই দেশের কাছেই কৌশলগতভাবে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ তাইওয়ান।
তাইওয়ানের নির্বাচনের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।
Posted ১২:৪০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta