কক্সবাংলা ডটকম :: আগামী বছরে রাশিয়ার হাত ধরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জার্মানি। এই আশঙ্কা থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। শুধু জার্মানিই নয়, আসন্ন যুদ্ধের ব্যাপারে প্রস্তুত হচ্ছে ন্যাটো মিত্ররাও।
জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোপন নথি থেকে এই তথ্য বেরিয়েছে বলে দাবি দেশটির সংমাদমাধ্যম বিল্ডের।
মঙ্গলবার এ নিয়ে প্রতিবেদনও করেছে সংবাদপত্রটি।
সংবাদপত্রটি দাবি করছে, রাশিয়া আগামী বছর সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্র দেশগুলোতে আক্রমণের মাধ্যমে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ আরও প্রসারিত করতে পারে। আর এটিকেই তৃতীয় বিশ^যুদ্ধের সম্ভাব্য শুরু বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
জার্মান এই পত্রিকার প্রতিবেদনটি এমন একসময়ে সামনে এলো যখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাত দুই বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছে।
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য বিল্ডের এই প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে, এ নিয়ে আর কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি তারা।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, শুধু জার্মানিই নয়, ন্যাটোভুক্ত বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনী রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এর মধ্যে সাইবার আক্রমণও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
জার্মান এই গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমা দেশগুলোর তহবিল হ্রাস পাওয়ার সুযোগে রুশ বাহিনী আসছে বসন্তে ইউক্রেনের সেনাদের ওপর ভারী হামলা শুরু করবে।
এই পরিস্থিতিতে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে এবং কয়েক হাজার জার্মান সৈন্যকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হবে। এরপর ধাপে ধাপে, মাসে মাসে, কীভাবে রুশ বাহিনী এগিয়ে যাবে এবং ন্যাটো তার মিত্রদের রক্ষা করবে সেটিও এতে বর্ণনা করা হয়েছে।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এই নথি অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরে সংঘর্ষ বাড়বে এবং এটিই রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ও বেলারুশে প্রায় ৫০ হাজার রুশ সৈন্যকে নিয়ে বড় আকারের সামরিক মহড়া শুরু করতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্ররোচিত করবে।
রাশিয়া তখন কালিনিনগ্রাদে সৈন্য এবং মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে পারে। এরপর ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেদের প্রোপাগান্ডা এবং আরও সহিংসতাকে ইন্ধন দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া।
বিল্ডের দাবি যদি সত্য হয়ে থাকে, বিপুলসংখ্যক রুশ সৈন্য মোতায়েন এবং রাশিয়ান ও পশ্চিমা সৈন্যদের মধ্যে যুদ্ধ প্রতিরোধ করতে ২০২৫ সালের মে মাস নাগাদ কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ন্যাটো।
এদিকে বিল্ডের এই প্রতিবেদনটিকে ‘গত বছরের রাশিফল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
