কক্সবাংলা ডটকম(৮ জুলাই) :: আরো তিনজন ক্ষুদে ফুটবলারকে থাইল্যান্ডের গুহার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে করে মোট ছয়জন কিশোরকে গুহার ভেতর থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের গুহায় আটকা পড়ে ছিলেন ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ। তাদেরকে উদ্ধারে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গুহার ভেতর আরো সাতজন আটকা পড়ে আছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ জন বিদেশি ডুবুরি ও থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর অভিজাত শাখার পাঁচ সদস্য উদ্ধার অভিযান শুরু করে। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই অভিযান শুরু হয়।
জানা গেছে, প্রথম কিশোরকে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে গুহা থেকে বের করে নিয়ে আসার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় কিশোরকে উদ্ধার করা হয় ৫টা ৫০ মিনিটে। তৃতীয় কিশোরকে গুহা থেকে বের করা সম্ভব হয় ১৬ মিনিটের মাথায়। তাদেরকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে আরেক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুহায় ১৮ সদস্যের উদ্ধারকারী দলে থাকা চিকিৎসকরা ঠিক করছেন কাকে আগে বের করে নিয়ে আসা হবে আর পর্যায়ক্রমে কাদের সিরিয়াল আসবে। জানা গেছে, শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
উদ্ধার মিশনের যৌথ কমান্ড সেন্টারের প্রধান ন্যারংস্যাক ওসোত্তানাকর্ন এক বিবৃতিতে জানান, সকাল ১০টায় গুহায় প্রবেশ করেছেন থাই নেভি সিলের পাঁচ সদস্যসহ বিদেশি ১৩ ডুবুরি। তাদের মধ্যে ১০ জন চেম্বার-৯ ও মাঝ রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত চেম্বার-৬ এর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় অন্য তিন ডুবুরি অভিযানে যোগ দিয়েছেন।
গল্পটিতে বলা হয়েছে যে দক্ষিণ চীনের চিয়াং রুং শহরের এক রাজকন্যা একজন অশ্বারোহী পুরুষের সাথে সম্পর্কের পর গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তারা তখন সমাজের ভয়ে ভীত হয়ে শহর থেকে পালিয়ে দক্ষিণের দিকে চলে আসেন।
যখন তারা এই পাহাড়ি এলাকায় এসে পৌঁছান তখন রাজকন্যার স্বামী তাকে বলেন সেখানে বিশ্রাম নিতে। স্বামী তখন খাবারের সন্ধানে বের হয়ে যান। তখন রাজকন্যার পিতার লোকেরা তাকে দেখতে পায় এবং তাকে হত্যা করে।
রাজকন্যা সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করে তার স্বামীর জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে। তিনি যখন নিশ্চিত হন যে তার স্বামী আর ফিরে আসবে না তখন তিনি তার চুলের একটি ক্লিপ নিজের পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। তারপর তার মৃতদেহ তখন একটি পর্বতে পরিণত হয় এবং তার শরীর থেকে যে রক্ত ঝরেছিল সেটা প্রবাহিত হয়ে ‘নাম মায়ে সাই’ নামের এক নদীর জন্ম হয়।
আরো যারা হারিয়েছিল
স্থানীয় থাই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, স্থানীয় বান জং গ্রামের একজন নেতা বলেছেন, ১৯৮৬ সালে এই গুহার ভেতরে একজন বিদেশি পর্যটক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। সাতদিন নিখোঁজ থাকার পর তাকে নিরাপদে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সেসময় কোন বন্যা ছিল না বলে তিনি জানিয়েছেন।
চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে ওই গুহার ভেতরে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বলে বলা হচ্ছে। তিন মাস তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় একটি পত্রিকা লিখেছে, চীনা ওই শিক্ষক ন্যাশনাল পার্কের একটি দোকানে তার সাইকেল জমা রেখে দোকানদারকে বলেছিলেন তিনি মেডিটেশন বা ধ্যান করার জন্যে গুহার ভেতরে যাচ্ছেন। তখন তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। গুহার ভেতরে তাকে পাওয়া না গেলেও তিন মাস পর তাকে পাশের একটি অবকাশ কেন্দ্রে পাওয়া যায়।
Posted ১১:১৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৮ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta