কক্সবাংলা ডটকম(১ আগস্ট) :: অনেক প্রাচীন কাল থেকেই দুধ উষ্ণ পানীয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তবে প্রতি দিনেই আসছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। তার ফলে আমাদের প্রাচীন অভ্যাস দুধ ফুটিয়ে পান করা, প্রায় ছেড়েই দিয়েছি আমরা। অনেকে বলেন গরম দুধ খাওয়া উচিত। তবে ঠাণ্ডা দুধ নিয়ে একটা বিতর্কও রয়েছে যে কোনটা ভালো, ঠাণ্ডা দুধ না পাস্তরিত দুধ?
১৯ শতকে উদ্ভাবিত একটি পদ্ধতি ছিল যেটা হল দুধ পেস্টেরাইজেশন বা (পাস্তরিত) করা। এ পদ্ধতিতে অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রায় দুধ গরম করে পরে ঠাণ্ডা করে প্যাকেজিং বা বোতলজাত করা হত। তবে পেস্টেরাইজেশনের পর দুধে থাকা উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। যেমন, দুধে থাকা স্যালমোনেলা বা বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের তুলনায় অনেক বেশি উপকারী ব্যাকটেরিয়াও নষ্ট হতে পারে।
পাস্তরিতকরণ পদ্ধতি
সাধারণত ১৫ সেকেন্ডের জন্য ১৬১.৬ ফারেনহাইট পর্যন্ত দুধ গরম করা হয় এবং তারপর ঠাণ্ডা করা হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে উচ্চ তাপমাত্রার স্বল্পকালীন পেস্টরাইজেশন বলা হয়, যা সমগ্র ভারতে এবং বিশ্বের অনেক অংশে ব্যবহৃত সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি।
পাস্তরিত দুধ কিভাবে সাহায্য করে
ভারতের খাদ্য সহযোগিতা সংস্থার (এফসিআই) অধ্যাপক সৌরভ গুপ্ত জানান, যখন আমরা পাস্তরিকরণ চলাকালীন এই তাপমাত্রায় দুধ গরম করি, তখনই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হচ্ছে। পরবর্তীতে আবারও গরম করার দরকার নেই।
সনাতন কারণেই পাস্তরিত দুধ সম্পর্কিত একটি ভিন্ন ধারনা আমাদের রয়েছে। যেমন এটি সরাসরি খাওয়া ক্ষতিকর। এর কারণ হিসেবে আমাদের অভিজ্ঞতার জায়গাটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা, কারণ আমরা ছোটবেলে থেকেই দুধ সরাসরি তাপে ফুটিয়ে পান করে অভ্যস্ত থাকায় বাজার থেকে কেনা এই ঠাণ্ডা দুধ পান করতে গেলে অনভ্যস্ততা কাজ করে।এই পাস্তুরিত দুধ একই কৌশলে সংরক্ষণ করা যা ভারত, চীন ও অন্যান্য দেশে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
পাস্তরিত দুধ ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অন্তত সাত দিনের জন্য সংরক্ষণ করা যায়। পাস্তুরিত দুধ আর সরাসরি দুধের পুষ্টিগুণের মধ্যে তেমন কোনো হেরফের থাকে না।
তাই, আপনি চাইলে পাস্তুরিত দুধ সরাসরিও পান করতে পারেন কিংবা অল্প গরম করে নিতে পারেন, তবে কোনোভাবেই ফুটন্ত গরম করার আবশ্যকতা নেই।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
Posted ৪:০৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta