বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

দেশের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি সিআইপি সাইফুল করিম এখন কোথায় ?

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮
365 ভিউ
দেশের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি সিআইপি সাইফুল করিম এখন কোথায় ?

কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৬ আগস্ট) :: কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হাজি সাইফুল করিম। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে হয়েছেন ব্যবসাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি)। টেকনাফ থানার সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিলবনিয়াপাড়া গ্রামের ডা. হানিফের ছেলে এই সাইফুল।মাত্র এক যুগের ব্যবধানে সিআইপি শিল্পপতি সাইফুল এখন শত কোটি টাকার মালিক। অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর এই ফুলে-ফেঁপে ওঠা আলাদিনের চেরাগের নাম ইয়াবা।

টেকনাফের সংসদ সদস্য বদির পাঁচ ভাই ও আত্মীয়দের বাইরে একমাত্র সাইফুলেরই রয়েছে নিজস্ব ইয়াবা সিন্ডিকেট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএসসি) ও গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় দেশের সবচেয়ে বড় ইয়াবার ডিলার এই সাইফুল করিম।

কক্সবাজারের ব্যায়বহুল এলাকা কলাতলী পয়েন্টে হোটেলও নির্মাণ করেছেন তিনি। রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বিস্তৃত তাঁর ব্যবসা। টেকনাফের বাসিন্দা হলেও বাস চট্টগ্রামে। ‘এস.কে. ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী তিনি। গার্মেন্ট, আমদানি-রপ্তানি, কার্গো ও জাহাজের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউড়ি ভিআইপি টাওয়ারে রয়েছে তাঁর একাধিক অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিয়ানমারের মংডুর প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে দেশে সরাসরি ইয়াবার চালান নিয়ে আসা এবং চট্টগ্রামে নিয়ে পাচার করার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে সাইফুলের। তাঁকে আন্তর্জাতিক ইয়াবা কারবারিও বলা হচ্ছে। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও টাকার দাপটে বরাবরই থেকে যাচ্ছেন আড়ালে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে প্রভাবশালী সাইফুল কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেও বহাল তবিয়তেই আছেন।

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টেকনাফে ইয়াবা নিয়ে অভিযান চালাতে গেলে এক হাজি আর এক মৌলভির নাম আসে। এই হাজি হচ্ছেন সাইফুল। আর মৌলভি হচ্ছেন এমপি বদির ভাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মৌলভি মজিবুর রহমান।

তিনি আরো বলেন, সাইফুলের ক্ষমতা এমপি বদির চেয়ে কম নয়। তিনি টাকা দিয়ে সব কিছু ম্যানেজ করে রেখেছেন। আন্ডারওয়ার্ল্ডেও যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। নেপথ্যে থেকে লোক দিয়ে ইয়াবার কারবার করানোতে তাঁকে ধরাও কঠিন।

কে এই সাইফুল 

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ১৪১ শীর্ষ মাদক কারবারির তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দেয় ডিএনসি। এর বাইরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ১১০ জন মাদক কারবারির তালিকা সংগ্রহ করেছে দুদক। সবগুলো তালিকায় শীর্ষে রয়েছে হাজী সাইফুলের নাম। ডিএনসির চট্টগ্রাম অঞ্চলের তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছে তাঁর নাম।

গোয়েন্দা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সাল থেকে ইয়াবা কারবারে জড়িত সাইফুল। ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করতেন। বিয়ে করেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহর বোনকে। সরকার বদল হলেও তাঁর মাদক কারবার কখনো বাধাগ্রস্ত হয়নি। বরং বেড়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলীয়ভাবে নিষ্ক্রিয় থেকে ভোল পাল্টে নেন সাইফুল। স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা কারো চোখ এড়ায়নি। মিয়ানমারের মংডুর বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা সিন্ডিকেটের সঙ্গে রয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। যারা কিচেন ল্যাব বা বাসার কারখানায় ইয়াবা তৈরি করে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে সরাসরি নিয়ে আসে সাইফুলের লোকজন। এর জন্য ঘাটে ঘাটে ঠিক করা আছে তাঁর লোক। নির্বিঘ্নে ইয়াবার কারবার চালাতে প্রশাসনকেও টাকা দেন সাইফুল।

শুরুতে টেকনাফ ও কক্সবাজারে থেকে কারবার পরিচালনা করলেও ২০১১ সালের পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক ইয়াবার কারবার শুরু করেন সাইফুল। সমঝোতার মাধ্যমে বদির ভাইসহ আত্মীয়দের ওই রুট ছেড়ে দিয়ে নতুন রুট তৈরি করেন তিনি।

সূত্রে জানা যায়, এসকে ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার পরিচয়ে সিআইপি খেতাব পান সাইফুল। এই পরিচয়ের আড়ালে তাঁর মূল কারবার ইয়াবা। চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ির ভিআইপি টাওয়ারে রয়েছে তাঁর একাধিক অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট। এর কোনো একটিতে তাঁর বাস। রাজধানীতেও তাঁর একাধিক ফ্ল্যাট আছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকায় লাখ লাখ ইয়াবার চালান পৌঁছে দেয় তাঁর সহযোগীরা। বাসা বা হোটেলে বসে গোপন ফোন নম্বরে লেনদেন তদারকি করেন সাইফুল।

জানা যায়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাইফুলের গার্মেন্ট ও কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা প্রসারিত হয়। চট্টগ্রামের টেরিবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের দুটি আড়তেই রয়েছে তাঁর কয়েক শ কোটি টাকার কারবার। এরই মধ্যে দুদক তাঁর সম্পদের খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। তালিকায় নাম আসার পর অনেকটা আড়ালে চলাফেরা করছেন হাজী সাইফুল করিম।

 ১০ বছর আগেই ইয়াবা পাচারে যুক্ত

টেকনাফের বাসিন্দা সাইফুল করিম ইয়াবা পাচারে যুক্ত হয় প্রায় ১০ বছর আগে। টেকনাফের মানুষ হলেও সে বাস করে চট্টগ্রাম নগরে। সাগর পথে চট্টগ্রামে যত ইয়াবা আসে তা সবই নিয়ন্ত্রন করেন এই সাইফুল করিম। আর তার হাত ধরেই পাচার হয় ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। একারনে চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য করে।আর কক্সবাজারের শীর্ষ করাদাতা হিসেবে সিআইপি মর্যাদাও অর্জন করেছে।

সূত্রে জানা যায়,চট্টগ্রাম বিভাগে কর্মরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাইফুল করিমের দহরম-মহরম সম্পর্কের কারণেই তার নামে মামলা হয়নি বলে মনে করছেন নগর পুলিশের কর্মকর্তারা। সাইফুল করিম এখনো অধরা।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার থেকে সাইফুল করিম ও তার সহযোগী রিদোয়ানের কাছে ইয়াবার চালান আসে মংডুর বাসিন্দা আবদুর রহিমের মাধ্যমে। রহিম ইয়াঙ্গুনে বাস করে। তার পাঠানো ইয়াবার চালানই ধরা পড়ে ৩ মে। ওই চালানে ইয়াবা ছিল ২০ লাখ। ধরা পড়ার আগেই পাচারকারীরা সাত লাখ ইয়াবা বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছিল। বাকি ১৩ লাখসহ ধরা পড়েছে আশরাফ ও হাসান।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের হালিশহর থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আশরাফ আলী শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে মিয়ানমারে যান। ইমিগ্রেশনের কাগজপত্রে তিনি এখনো মিয়ানমারেই আছেন। কিন্তু বাস্তবে গত ৩ মে ১৩ লাখ ইয়াবাসহ চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি এখন চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন।

গ্রেপ্তারের পর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আশরাফ জানিয়েছেন, উড়োজাহাজে করে মিয়ানমারে গেলেও তিনি ফিরে এসেছেন সাগরপথে, ট্রলার ও স্পিডবোটে করে। ইয়াঙ্গুন থেকে ১৩ লাখ ইয়াবা বড়ি নিয়ে আসেন তিনি। বাহক হিসেবে এর জন্য তাঁর ২০ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল।

আশরাফের জবানবন্দি অনুযায়ী, এই ইয়াবার মালিক কক্সবাজারের সিআইপি (গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী) সাইফুল করিম ও চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী জুবায়ের ওরফে রেদোয়ান। ইয়াঙ্গুন থেকে এঁদের জন্য ইয়াবার চালানটি পাঠান সেখানকার বাসিন্দা ও মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহিম। এই চক্রে আরও ১০-১২ জন সক্রিয় সদস্য আছে।

১৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার মামলার তদন্তকারী চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কামরুজ্জামান  বলেন, এই চক্র দেশের সবচেয়ে বড় ইয়াবার কারবারি। এরা খুবই চতুর ও সংঘবদ্ধ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমার থেকে আসা মোট ইয়াবার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ আসছে সাইফুলের মতো পাঁচ থেকে ছয়জন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ আবদুর রহমান বদির ভাই মুজিবুর রহমান ছাড়াও আছেন নুরুল হক ওরফে ভুট্টু, শাহজাহান আনসারী, মোস্তাক আহমেদ, নুরুল হুদা, জাফর আহমেদ।

৩ মে আশরাফের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন তাঁর ভাই হাসানও। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রাশেদ ওরফে মুন্না নামের আরও এক ইয়াবা কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৯ মে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আশরাফ আলী বলেন, কয়েক বছর আগে শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরবে যান তিনি। সেখানে পরিচয় হয় মিয়ানমারের বাসিন্দা আবদুর রহিমের সঙ্গে।

রহিম তাঁকে জানান, তিনি ইয়াবার ব্যবসা করেন। বাংলাদেশে তাঁর হয়ে কাজ করেন জুবায়ের, রাশেদ ওরফে মুন্না। জুবায়েরের সঙ্গে আছেন আনোয়ারার আলী আকবর, কামরুল ইসলাম, সুমন, আনোয়ার হোসেন ও শওকত আলী।

আশরাফ আদালতকে বলেন, কয়েক মাস আগেও রহিম এই জুবায়েরের কাছে ২০ লাখ ইয়াবা পাঠিয়েছিলেন। আগে-পরে মিলে জুবায়েরের কাছে রহিমের পাওনা হয়েছে ১৪ কোটি টাকা।

এর আগে জুবায়েরের একটি বড় চালান র‍্যাব আটক করেছিল। মিয়ানমার থেকে সেই চালানটি এনেছিলেন মোজাহার নামের এক মাঝি। এ কারণে রহিমের আত্মীয় কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা রাশেদ তাঁকে (আশরাফ) মিয়ানমারে গিয়ে ইয়াবা নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেন। তাঁকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন রাশেদ।

আশরাফ জবানবন্দিতে বলেন, পাসপোর্ট-ভিসার সব ব্যবস্থা রাশেদ করে দেন। ৭ এপ্রিল বিমানে করে তিনি মিয়ানমারে যান। ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে নামার পর রহিম তাঁকে একটি হোটেলে তোলেন। মিয়ানমার থেকে কীভাবে বের হতে হবে, তার পথঘাট ঠিক না হওয়ায় তিনি ২২ দিন সেই হোটেলে থাকেন। এরপর একদিন সকালবেলায় তাঁকে ১৩ লাখ ইয়াবাসহ একটি ট্রলারে তুলে দেন রহিম। ট্রলারের সঙ্গে একটি স্পিডবোটও ছিল। আশরাফ জানান, চার দিন সাগরে চলার পর ট্রলারটি বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছায়। সেখানে সঙ্গে আনা স্পিডবোটে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়।

তিনি স্পিডবোট চালিয়ে কুতুবদিয়া চ্যানেলে আসার পর প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে স্পিডবোটের ইঞ্জিন পানিতে পড়ে যায়। পরে তিনি একটি মাছ ধরার ট্রলারে উঠে ভাটিয়ারীর এলাকার মাদামবিবির হাট ঘাটে নামেন। সেই ঘাটে আগে থেকেই গাড়ি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন শহীদ নামের এক ব্যক্তি। শহীদ তাঁকে ইয়াবাসহ হালিশহরের বাসায় পৌঁছে দেন।

আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ রাশেদ ওরফে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে। রাশেদও ১৯ মে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তিনি বলেন, ইয়াঙ্গুনের আবদুর রহিম তাঁর ফুফাতো বোনের স্বামী। রহিম ১০ বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসা করেন। তিনি বাংলাদেশে এলে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা জুবায়েরের বাসায় ওঠেন। জুবায়েরের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১০-১২টি ইয়াবার চালান পাঠিয়েছেন। জুবায়ের ছাড়াও টেকনাফের বাসিন্দা সাইফুল করিম ইয়াঙ্গুন থেকে রহিমের কাছ থেকে সাত-আটটি ইয়াবার চালান নিয়ে এসেছিলেন।

রাশেদ মুন্না বলেন, সাইফুল করিমের কাছে ইয়াবা বিক্রির সাত কোটি টাকা পাওনা আছেন রহিম। এই টাকা আদায়ের জন্য তিনি একাধিকবার সাইফুলের টেকনাফের বাসায় যান। রাশেদ বলেন, আশরাফ যে ১৩ লাখ ইয়াবা এনেছিলেন, তা শাহপরীর দ্বীপের নাইম হাবিব, নুর আলম, মোহাম্মদ আলম ও শহীদের মাধ্যমে বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই পুলিশ সেগুলো আটক করে।

টেকনাফের শীলবুনিয়া পাড়ার চিকিৎসক মো. হানিফের ছেলে সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে মাদকের কোনো মামলা নেই। তবে তাঁর সাত ভাইয়ের ছয়জনের নাম ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে।

২০০৭ সালেও সাইফুল করিম স্বল্প বেতনে একটি আড়তে কাজ করতেন। এখন রিসোর্টসহ অনেক সম্পদের মালিক। প্রতিষ্ঠা করেছেন এস কে জি গ্রুপ নামে কোম্পানি। গত বছর (২০১৭) কক্সবাজার জেলার সেরা করদাতা হিসেবে পুরস্কার নিয়েছেন।

সাইফুল করিমের আরেক ঘনিষ্ঠজন হলেন চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা যুবায়ের ওরফে রেদোয়ান এবং ওআর নিজাম রোডের বাসিন্দা ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন শরীফ। আমিন শরীফের মেয়ে তাসফিয়া সম্প্রতি খুন হয়েছে। সেই মামলার সুরতহাল প্রতিবেদনের সাক্ষী ছিলেন সাইফুল করিম। ইয়াবাবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এঁরা সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।

365 ভিউ

Posted ৬:৩৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com