কক্সবাংলা ডটকম(৪ জুলাই) :: ঈদের আগে মিল থেকে নগদ টাকায়ও চাহিদা অনুযায়ী চাল সরবরাহ পাননি আড়তদাররা। কিন্তু এখন নগদে নয়, বাকিতেও চাল সরবরাহ করতে রাজি মিল মালিকরা। সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসায় বাজারে সব ধরনের চালের দামই এখন কমতির দিকে।
পুরান ঢাকার বাবুবাজার এলাকার মেসার্স মতিন রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আবদুর রশিদ বলেন, দেড়মাস ধরে প্রতিদিনই অল্প পরিমাণে চালের দাম বেড়েছে। সরকার চাল আমদানির শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর দাম বৃদ্ধির এ ধারায় ছেদ পড়েছে। ঈদের পর কেনাবেচা পুরোদমে শুরু না হওয়ায় দাম আরো কমেছে।
চালের দাম কমাচ্ছেন মিল মালিকরাও। গত রোববার মিলারদের পক্ষ থেকে মিনিকেট ও অন্যান্য সরু চালের প্রতি বস্তায় ২৫ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এতে ব্যবসায়ীরাও কেজিপ্রতি ১ টাকা কমিয়ে চাল বিক্রি করছেন।
পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আগে তারা প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৪৯-৫৪ টাকায় বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তা ৪৮-৫৩ টাকায় বিক্রি করছেন।
জানা যায়, মে মাসের শুরুতে তারা মিল মালিকদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী চালের সরবরাহ পাননি। এখন উল্টো মিল মালিকরা বাকিতেই চাল সরবরাহ করতে চাইছেন।
বাবুবাজার ও বাদামতলী এলাকার কয়েকজন আড়তদার জানান, মিল মালিকদের পক্ষ থেকে চাল সরবরাহ দেয়ার জন্য কয়েকদিন ধরে তাদের তাগিদ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আড়তদাররা এখন চাল সরবরাহ নিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। কারণ বর্তমান মূল্যে চাল সরবরাহ নেয়া হলে তা বিক্রি করে লোকসান গুনতে হবে। এ আশঙ্কা থেকে আড়তদাররা ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করছেন।
উৎপাদন মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন কৃষকরা। এ কারণে সরকার গত অর্থবছরে চাল আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ নির্ধারণ করে। শুল্কবৃদ্ধিতে চাল আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আর এ সুযোগে দেশের মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দেন।
এ বছর আকম্মিক বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ কয়েকটি জেলায় ধানের ক্ষতি হয়। এটাকেও সুযোগ হিসেবে কাজে লাগানো হয়। শেষ পর্যন্ত সরকার চাল আমদানির ওপর শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার পর প্রতি কেজি চালের দাম ৬ টাকা কমবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
Posted ৭:৫৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta