জার্নাল জেরনটলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ৫০ বছর বয়সী ২৫,০০০ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইংলিশ লনজিটুডিনাল স্টাডি অব এজিং এবং ইউএস হেলথ অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট স্টাডির তথ্য বিশ্লেষণ করেন তারা।
গবেষকরা দেখেছেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তেমন বড় কোনো পার্থক্য নেই জীবন আয়ু নিয়ে। তবে অংশগ্রহণকারীরা কতদিন বাঁচছেন, সেটার উপর সম্পদের বেশ প্রভাব রয়েছে।
সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, ৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে ধনীরা সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে ৩১ বছর বেশি বাঁচে যারা দরিদ্র তাদের ২৪-২৫ বছরের তুলনায়।
গবেষকদের মতে, সুস্থ জীবনায়ু দুই দেশেই অসমতায় রয়েছে তবে সমানভাবে বিস্তৃত রয়েছে। দুই দেশেই স্বাস্থ্য অসমতা দূর করার প্রচেষ্টা পিছিয়ে পড়া আর্থসামাজিক দল থেকে শুরু করা উচিত।
২০০২ সালে গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবপর ১০ বছর তাদের পর্যবেক্ষণ করা হয় তাদের স্বাস্থ্য কেমন প্রভাব বিস্তার করে সেটা দেখার জন্য।
ইউসিএলের গবেষণার মূল লেখক ড. পাওলা জানিনোট্টো বলেন, জীবনায়ু সুস্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্নায়ক। এমনকি বয়স্ক অবস্থায় জীবনের ধরণও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি যোগ করেন, সুস্থ জীবনায়ুর পরিমাপ দিয়ে স্বাস্থ্য ভালো অবস্থায় আর অক্ষমতা ছাড়া কতটা বছর গেলো সেই মাত্রাটা বুঝতে পারবো?
এই গবেষণা ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে জীবনায়ুর অসমতাকে বোঝার ক্ষেত্রে খুব কাজে আসবে। যেখানে দুটি দেশে স্বাস্থ্যসেবা খুবই ভিন্ন।