মাঈনুদ্দিন খালেদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(১১ আগষ্ট) :: পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারো একটি আহত বন্য হাতি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সীমান্তের ৪৬ নম্বর পিলার কাছাকাছি আধাকিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নুরুল আলম কোম্পানীর চা বাগান এলাকায় হাতিটি এ অবস্থায় রয়েছে এখনো।
গত ৪ দিন ধরে হাতিটির আর্ত-চিৎকারে নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলীতে নিরাশ বন্যহাতিটির আহাজারিতে আকাশ ভারি হয়ে উঠেছে। স্থানীয় লোকজন কয়েকদিন ধরে হাতিটির এমন র্দৃশ্য দেখে চোখের জলও ফেলছেন নিয়মিত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র গুলো আরো জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার ও শনিবার দু দিন ধরে লোকজন ছুটে যান এ আহত হাতিটি দেখতে। তারা দেখতে পান,হাতিটি ছটফট করছে এবং চিৎকার করছে অঝোরধারায়। নানাভাবে তারা আরো জানতে পারেন যে, এ হতিটি নাকি গত ৪/৫ দিন ধরে এ অবস্থায় রয়েছে। তারা জানান,এটি অমানবিক এক দৃশ্য। হাতিটিকে বাচানোঁ দরকার।
প্রত্যক্ষদর্শী আরো একাধিক সূত্র জানান, ধারনা করা হয় এ হাতিটি হয় মিয়ানমার বাহিনীর গুলি অথবা তাদের পুতাঁনো স্থল মাইন বিষ্পারণেই আহত হয়েছে । অথবা দেশীয় বন্য পশু শিকারী দল হাতির দাতের জন্যে গুলি মারায় হাতিটি এখানে পালিয়ে এসেছে। এটি এখন শারিরীকভাবে খুবই দূর্বল হয়ে পড়ছে ক্রমান্বয়ে। আজ ৬/৭ দিন ধরে এখানে না খেয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এটি। হয়তো আজ-কালের মধ্যে মারাও যেতে পারে এ হাতিটি।
তারা জানান,এর আগেও সীমান্তের ফুলতলীসহ কয়েকটি পয়েন্টে এ ধরণের আহত হাতি শিকারীর গুলিতে আহত হয়ে মারা গিয়েছিল। যে সব হাতির দাতঁ শিকারীরা নিয়ে গিয়েছিল নিজের মতো করে। কিন্ত সর্বত্র রটে গিয়েছিল ভিন্ন কথা।
এ বিষয়ে সীমান্তের এ পয়েন্টে বসবাসরত ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হাসান জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। আহত হাতিটি হয়তো গুলি খেয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও ধরণের বেশ ক’টি হাতি আহত হয়ে মারা গিয়েছিল সীমান্তর নানা পয়েন্টে। এটিও তার একটি।
সীমান্ত রক্ষী ১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অধিনায়ক লে: কর্ণেল আসাদুজ্জামান জানান, তিনি এই মাত্র বিষয়টি শুনেছেন। কী করা যায় রেঞ্জ অফিসারকে নিয়ে আলোচনাা করে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন তিনি।
তিনি আরো বলেন,সম্ভব হলে বন বিভাগকে সাথে নিয়ে এ হাতিটিকে বাচিঁয়ে তোলার চেষ্টা করবেন তিনি।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির এ বন রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুল আলম হাফেজি জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না । তিনি বিষয়টি এই মাত্র শুনলেন এবং ব্যবস্থা নেবেন।
Posted ৮:০২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta