শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গারা আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে রাজি নয়

মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
273 ভিউ
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গারা আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে রাজি নয়

আব্দুল হামিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(৩১ অক্টোবর) :: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের অভ্যন্তরে কোন আশ্রয় কেন্দ্র না থাকলেও নো ম্যান্স ল্যান্ডে চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে রোহিঙ্গারা। এদিকে নো ম্যান্স ল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব কোনাপাড়া, বড়ছনখোলা, সাপমারাঝিড়ি এবং ফুলতলী চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গাদের আপাতত সরিয়ে নেয়া হচ্ছে না।

এসব রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো দিকনির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে নো ম্যান্স ল্যান্ডের আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তেও রাজি নয় অবস্থানরত রোহিঙ্গারা।

কোনাপাড়াস্থ নোম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা আব্দুল মোতালেব ও আব্দুর শুক্কুর বলেন, আমরা এখানে মোটামুটি ভালোই আছি। খাবারের সংকট থাকলেও পানি, চিকিৎসা, ত্রান সহ সবধরণের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। কক্সবাজারের কুতুপালং আশ্রয় কেন্দ্রের প্রায় তিন কিলোমিটার ভিতরের ক্যাম্পে আমরা যেতে চাইনা। আর্ন্তজাতিক চাপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এখান থেকেই মিয়ানমারে ফিরে যাবো।

প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে বড়ছনখোলায় ১৬শ পরিবার, লোকসংখ্যা আনুমানিক ৯৫০০ জন, শাপমারা ঝিড়ি ৬শ পরিবার, লোকসংখ্যা আনুমানিক ৪০০০ জন, ফুলতলী ৭৮ পরিবার, লোকসংখ্যা আনুমানিক ৫০০ জন এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের দক্ষিন-পূর্ব কোনাপাড়ায় ১৫শ পরিবার, লোকসংখ্যা ৯০০০ জন।

গত কয়েকদিনে মিয়ানমারের কাটাতারের বেড়া পেরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আরো ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী ও ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র নেই। সীমান্তে চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত রোহিঙ্গা আর্ন্তজাতিক সীমারেখায় নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করছে। তবে খাদ্য সংকট সহ মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতনে নতুন করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে।

কাটাতারের বেড়া পেরিয়ে গত কয়েক দিনে কম হলেও ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা সীমান্তের আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করলেও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাহাযার্থে ঘুমধুমে ২টি এবং সদর ইউনিয়নে ২টি ত্রান সেন্টার খোলা রয়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগের চারটি মেডিক্যাল টিম।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে খাবারের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত ত্রান মওজুদ রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের কাছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, বান্দরবানের সীমান্তে নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। সরকার সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত আপাতত আর্ন্তজাতিক সীমারেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরানো হবেনা। এছাড়াও কুতুপালং ক্যাম্পের নতুন জায়গাগুলোও এখনো প্রস্তুত হয়নি।

273 ভিউ

Posted ৫:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com