শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ

মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০১৭
321 ভিউ
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ

কক্সবাংলা ডটকম(২৫ জুলাই) :: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো দেড় বছর বাকি। ইতোমধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা ইস্যুতে রাজনীতি জমে উঠেছে। এবারও এটি নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

দুই দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। কেউ ছাড় দিতে নারাজ। চলছে কথার লড়াই। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। গত কয়েক বছরে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলা বিএনপি এবার চাইছে ‘সহায়ক সরকারের’ অধীনে নির্বাচন। এ জন্য প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন চায় দলটি।

বিপরীতে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিষয়টি মীমাংসিত। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের যে অবস্থান ছিল তাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত নির্বাচনের মতোই আগামী নির্বাচনেও নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থায় সংবিধানে নির্ধারিত পদ্ধতি বহাল রাখতে দৃঢ় অবস্থানে দলটি।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সরকারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা রয়েছে সেই মন্ত্রিসভাই ছোট করে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের দাবি, নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি এখনো অমীমাংসিত। বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় রাজনীতিতে চাপা অস্থিরতা বিরাজ করছে। নির্বাচন নিয়ে জনমনে অনিশ্চয়তা আছে। এ জন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে সহায়ক সরকারের ফর্মুলা ঠিক করতে হবে।

এদিকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেই আগামী মাসের শেষ দিকে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন নিবন্ধন, ইসির সক্ষমতা বাড়ানো ও সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টিও আলোচনায় আসতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি। গত নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে চায় আওয়ামী লীগ। সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না। এই বক্তব্য আওয়ামী লীগ নেতাদের। বিপরীতে বিএনপির দাবি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনকালে শেখ হাসিনার সরকারই সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। এটাই আমাদের সংবিধানের নিয়ম।’

তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া টেমস নদীর তীরে বসে সহায়ক সরকারের রূপরেখা ও পরিকল্পনা করছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, নির্বাচনী ফর্মুলা আনতে গেছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যকে দেশের জনগণের সঙ্গে তামাশা এবং দেশকে গভীর বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে বিএনপি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনকালে একটি সহায়ক সরকার থাকতে হবে। যে সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জনগণ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করাবে।

জানা গেছে, লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের ফর্মুলা দিবেন। এরপর তিনি জেলা সফরে বের হবেন। মূলত সহায়ক সরকারের প্রতি জনমত তৈরিতে তিনি বিভিন্ন জেলায় পথসভা ও জনসভা করবেন। রাজধানীতেও গণসংযোগসহ মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এভাবে দলটি সহায়ক সরকার ইস্যুতে চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে যাবে।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি কিংবা কোনো অনির্বাচিত গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্ব তিন মাস মেয়াদে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের চাইবে বিএনপি। এই তিন মাস প্রধানমন্ত্রীকে ছুটিতে থাকার প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের একটি রূপরেখার খসড়া প্রস্তুত করেছে বিএনপি। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ছুটিতে যাওয়ার কোনো বিধান সংবিধানে নেই।

আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম শেখ হাসিনাকে সরিয়ে নির্বাচন দাবিকে মামা বাড়ির আবদার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে কোনো আন্দোলনে কাজ হবে না।

321 ভিউ

Posted ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com