কক্সবাংলা ডটকম(২৭ ডিসেম্বর) :: নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না এই অভিযোগ আগেই করেছে বিরোধীরা৷ এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বিএনপি কি ফের ভোট বয়কটের পথে যাচ্ছে ? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করল৷
কারণ, বৃহস্পতিবারই বিশেষ বৈঠকে বসছে ঐক্যফ্রন্ট৷ আর সেই বৈঠক শেষেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ ফলে জাতীয় নির্বাচনে বিরোধীদের অবস্থান নিয়ে ফের ধোঁয়াশা তৈরি হতে শুরু করেছে৷
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন আর কতটুকু সুষ্ঠু হবে, এ ব্যাপারে জনমনে আজকে অত্যন্ত বড় রকমের একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে আগামীকাল বসছি আমাদের ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এবং সেখানেই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।
সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট বিভিন্ন ছুতোয় ভোট থেকে বিরত থাকতে চাইছে৷
তবে একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদের উপর হামলার ঘটনায় ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি৷ আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিকরা৷ সরকারপক্ষ অর্থাৎ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠছে বারে বারে৷
অন্যদিকে পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল৷ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ঝরেছে রক্ত, মৃত্যুও হয়েছে৷ সবমিলে জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকেই রক্তাক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ৷ ৩০ ডিসেম্বর হবে নির্বাচন৷
বিএনপি নেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জেলে গিয়েছেন৷ যদিও তাঁর দলের দাবি, ‘ম্যাডাম’-কে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে এটা সরকারের চাল৷ আর আওয়ামী লীগের দাবি, আইনগত প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার জেল হয়েছে৷
এদিকে জেল বন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে বগুড়ায় বিশাল জনসভা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল৷
বগুড়া খালেদা জিয়ার খাস তালুক ও বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত৷ সেখানে নির্বাচনী জনসভায় বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, যে করেই হোক খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা হবে৷
আর জনসভায় যাওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত আছি, আমরা চেষ্টা করছি থাকার জন্য। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে নির্বাচন কমিশনের ওপরে।’
Posted ৪:০৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta