কক্সবাংলা ডটকম(৮ ডিসেম্বর) :: গোসলের সময়টা আমাদের জন্য বেশ একটু আলসেমির ব্যাপার। কারও কাছে আবার বেশ তাড়াতাড়ির ব্যাপার। কেউ বেশ সময় নিয়ে রোদ পোহাতে পোহাতে গোসল করে থাকেন আবার কেউ কর্মস্থলের যাওয়ার আগে কোনও মতে শরীরে একটু পানি ঢেলে নেন।
এতে সাময়িক গোসল হলেও গোসলের উদ্দেশ্য বলতে শরীর পরিষ্কার- তা অনেকটাই হয় না। একটু সময় করে দুইদিনে একবার হলেও শরীরের এই জায়গাগুলো একটু পরিষ্কার করে রাখাটা বেশ জরুরি। তা না হলে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
কানের পেছনে
কানের পিছনে কান ও মাথার সন্ধিস্থলে ময়লা জমে। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে সেখান থেকে চুলকানি চর্ম ও জাতীয় রোগ যেমন দাদ, খোশ-পাঁচড়া ইত্যাদি হতে পারে।
বহিঃকর্ণ
কানের সামনের দিকে গর্তের চারপাশে ধুলাবালি ইত্যাদি জমে বেশ কালো হয়ে থাকে। এতে যেমন চর্মরোগের উৎপত্তি হতে পারে তেমনি দেখতেও খারাপ দেখা যায়।
চোখ ও ভুরুর মাঝখানে
চোখে ও ভ্রু’র মাঝখানে গর্তের মতো জায়গায় ময়লা জমতে পারে। গোসলের সময় ভেজা কাপড় দিয়ে এক দুইবার ঘষা দিলেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়, এতে বাড়তি সময়ের প্রয়োজন তেমন নেই।
নাকের ছিদ্র
নাকের ছিদ্রেও ধুলা বালি-ময়লা ইত্যাদি জমে। তাই নাকের ছিদ্র প্রতিনিয়ত পরিষ্কার রাখা উচিত।
নাভি
আমাদের ভুলে যাওয়ার খুব বড় একটি জায়গা। আমরা নাভিকে প্রায়শই ভুলে যাই। নাভি আসলে শরীরের একটি ক্ষত। জন্মের সময় শিশুকে মায়ের থেকে পৃথক করার সময়ই তৈরি হয় এই ক্ষত। নাভি কুণ্ডলীর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে ভিতরের দিকে। খুব কম সংখ্যক মানুষেরই নাভিকুণ্ডলী বাইরের দিকে থাকে। আর এই নাভিকুণ্ডলীতে ময়লা জমলে তা বেশ চুলকানির উদ্রেক করে থাকে। কখনো কখনো ঘায়ের মতোও হতে পারে। তাই এ জায়গাটা বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই পরিষ্কার রাখা উচিত।
এছাড়া, নাভিই শরীরের সবথেকে অপরিচ্ছন্ন স্থান বলে একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে। এতে প্রায় ৬৭ রকমের ব্যাকটেরিয়া থাকে। আমরা বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরে থাকি। তা যতই পরিষ্কার হোক, শরীর থেকে হোক বা পোশাক থেকে, নোংরা জমতে থাকে নাভিকুণ্ডলীতে। প্রতিদিন নিয়ম করে পরিষ্কার না করলে তাতেও দুর্গন্ধ হতে পারে।
তবে মায়ের নাভিকুণ্ডলী পরিষ্কার না থাকলে নবজাতকেরও তার থেকে সংক্রমণ হতে পারে। প্রতিদিন সাবান জল দিয়ে পরিষ্কার রাখা যেতে পারে নরম এবং স্পর্শকাতর এই স্থানটিকে। এছাড়া শরীরের নিম্নাংশের আবৃত অংশগুলোও প্রতিনিয়ত পরিষ্কার রাখা খুব দরকার।
