রোববার বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার রফিউজ্জামান সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এবং সমুদ্রসীমা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছে। ভারতের সংসদ সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলটি সর্ব সম্মসতভাবে অনুমোদন করেছে। ভারতের সঙ্গে সমস্যাটির শান্তিপূর্ণ সমাধান সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি উদাহারণ সৃষ্টি করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পরই কতগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে গেছি। যে কারণে জনগণ এখন এগুলোর সুফল পাচ্ছে। এসবের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কার্যকর নীতিমালা বিশেষ করে অর্থনৈতিক নীতিমালার দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নও নিশ্চিত হয়েছে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ধারায় পুরোপুরি পরিবর্তিত একটি দেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হয়েছেন তাতে পাকিস্থানের জনগণও আনন্দিত।

গত বছর গুলশানের হলি অর্টিজান রেস্তোরায় সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, ওই হামলার পর আর এ ধরনের কোন ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদকে কঠোর হস্তে দমনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহম্মদ জয়নুল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।