কক্সবাংলা ডটকম(১৮ সেপ্টেম্বর) :: পুঁজিবাজারের মন্দা উত্তরণে সংশ্লিষ্ট পক্ষ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বৈঠকের পর টানা দ্বিতীয় দিনে দরপতন হয়েছে। ওই বৈঠকে পুঁজিবাজারের চলমান মন্দা কাটাতে সন্তোষজনক সমাধান না আসায় গত দুদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৭১ পয়েন্ট। লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও কমে গেছে।
আগের বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও পুঁজিবাজারে চলমান মন্দা ঠেকাতে পুঁজিবাজার, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অংশীজনদের সঙ্গে গত সোমবার বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। ওই বৈঠকে পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে সরকারি শেয়ার ছাড়াসহ কারসাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি।
এছাড়া উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের বিষয়টিও তদন্তের নির্দেশ দেন। এর বাইরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় একটি বিশেষ কমিটি গঠনের কথাও জানান তিনি। তবে চলমান তারল্য সংকট কাটাতে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের জানাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ওই বৈঠকের পরদিন থেকেই পুঁজিবাজারে দরপতন চলছে।
১৮ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া প্রায় ৬১ শতাংশ শেয়ারের দরপতনে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৪১ পয়েন্ট। আগেরদিনও ডিএসইর এই সূচকটি ৩০ পয়েন্টের বেশি হারায়। সব মিলিয়ে গত দুদিনে এ সূচকটি ৭১ পয়েন্টের বেশি হারিয়েছে। গত সোমবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে অংশীজনদের বৈঠকের দিন ডিএসইর প্রধান সূচকটি ৪৯৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল। আর ওই বৈঠকের পরবর্তী দুদিনের পতনে ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকটি নেমে এসেছে ৪৮৮৮ পয়েন্টে। ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বরের পর এটিই সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে পুঁজিবাজারে বীমা খাতের শেয়ারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা গেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের সব ভবন বীমার আওতায় আনার কথা জানান অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা ২৮ বীমা কোম্পানিকে তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির নির্দেশ দেন তিনি।
এরপর থেকেই বীমা খাতের শেয়ারে চাঙ্গাভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। গতকাল সাধারণ ও জীবন বীমার মোট ৪৭ কোম্পানির মধ্যে ৪২টির দর বেড়েছে। এর মধ্যে সাধারণ বীমা ২ দশমিক ৭ শতাংশ ও জীবন বীমার বাজার মূলধন ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। বাজার মন্দায় থাকলেও চলতি বছর সাধারণ বীমা খাতের বাজার মূলধন বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
১৮ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া ৩৫২টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ২১৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির। গতকাল মিউচুয়াল ফান্ড, বীমা ও জ¦ালানি ছাড়া সব খাতই দর হারিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি, পাট, ট্যানারি, সিরামিক, বস্ত্র ও সিমেন্ট খাতের শেয়ার সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ৩৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম। ডিএসইর দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ তালিকার ৯টিই ছিল বীমা খাতের কোম্পানি।
Posted ৩:০৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta