মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(৯ মে) :: উখিয়ার থাইংখালী তাজনিমারখোলা রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন গ্রামে কয়েকজন রোহিঙ্গা যুবকের ইয়াবা সেবনকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসি-রোহিঙ্গাও পুলিশ ত্রিমূখী সংঘর্ষের ঘটনায় কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তামান্না ফারাহ এর আদালত পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ওই মামলায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৩শ জনের বিরুদ্ধে গত মে উখিয়া থানায় মামলা দরজ করা হয়। এই মামলায় সপ্তাহ খানেক আত্মগোপনে থাকার পর মে বুধবার কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমর্পণ পুর্বক জামিনের আবেদন করলে আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ১ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাজনিমারখোলা ইটভাটা এলাকায় কয়েকজন উশৃংখল রোহিঙ্গা যুবক ধান ক্ষেতে বসে ইয়াবা সেবন করছিল। এসময় স্থানীয় ঘরমূখো পথচারীরা তাদের লক্ষ্য করে টর্চ এর আলো ফেললে ঘটনার সুত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন টর্চ মারাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা যুবকেরা গ্রামবাসিদের মারধর করলে ৭/৮জন গ্রামবাসি আহত হয়। খরব পেয়ে তাজনিমারখোলা গ্রামের স্থানীয় লোকজন রোহিঙ্গাদের হামলার প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলেও উত্তেজিত গ্রামবাসিকে শান্ত করতে গিয়ে পুলিশের সাথে গ্রামবাসির হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুলী উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থল তাজনিমারখোলা গ্রামে পৌঁছে স্থানীয় গ্রামবাসিকে শান্ত করে তাদেরকে নিয়ে ক্যাম্প ত্যাগ করে। তবে চেয়ারম্যানের উপস্থিতির সুযোগে কতিপয় গ্রামবাসি পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কিতে ৪জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ঘটনাস্থলের দায়িত্বরত পুলিশের এসআই আব্দুর রাজ্জাক থানায় এই অভিযোগটি দায়ের করেন। এতে চেয়ারম্যানকে এজাহার নামীয় ও ৩শ অজ্ঞাত গ্রামবাসিকে আসামী করা হয়েছে।
Posted ১১:৪৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৯ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta