মঙ্গলবার ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পূজিরবাজারে বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজিতে ৮৪৬ কোটি টাকা লুট

শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
10 ভিউ
পূজিরবাজারে বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজিতে ৮৪৬ কোটি টাকা লুট

কক্সবাংলা ডটকম(৭ সেপ্টেম্বর) :: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি তদন্তে দেখা গেছে, ২০২২ সালের শুরুর দিকে বেক্সিমকোর শেয়ারের দামে কারসাজি করে আট বিনিয়োগকারীর একটি গ্রুপ ৮৪৬ কোটি টাকা রিয়ালাইজড ও আন-রিয়েলাইজড গেইন করেছে।

চার ব্যক্তি এবং চারটি প্রতিষ্ঠানের এ বিনিয়োগকারী দলটি সক্রিয় লেনদেনের ভুয়া ধারণা সৃষ্টি করতে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে কৃত্রিমভাবে ধারাবাহিক লেনদেনের মাধ্যমে শেয়ারের দাম স্ফীত করেছে, যার বেশিরভাগই হয়েছে নিজেদের মধ্যে লেনদেনের মাধ্যমে।

ডিএসই-এর তদন্তে এই সুবিধাভোগী বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে : আব্দুর রউফ, ক্রিসেন্ট লিমিটেড, মোসফেকুর রহমান, মমতাজুর রহমান অ্যান্ড দেয়ার অ্যাসোসিয়েটস, জুপিটার বিজনেস, অ্যাপোলো ট্রেডিং লিমিটেড, মারজানা রহমান ও ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

ডিএসই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২ জানুয়ারি থেকে ১০ মার্চ ২০২২ সালের তদন্তকালে বেক্সিমকোর শেয়ারের টার্নওভার মূল্য ছিল ৪,৪০৬ কোটি টাকা।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে ভিন্ন ভিন্ন ক্লায়েন্ট কোডের মাধ্যমে যার ৭০ শতাংশের বেশি লেনদেন করেছে এই আট বিনিয়োগকারী।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রুপটি যৌথভাবে রিয়ালাইজড গেইন হিসেবে ৩১৯.৭৪ কোটি টাকা এবং অবাস্তব লাভ হিসেবে ৫২৬.৪৮ কোটি টাকা অর্জন করেছে।

২০২২ সালের শেষের দিকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার বেক্সিমকোর শেয়ার মূল্যের ব্যাপক কারসাজি এবং সিকিউরিটিজ আইনের একাধিক লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল।

তবে, প্রতিবেদনটি প্রায় দুই বছর ধরে আটকে রাখা হয়। কারণ শিবলী রুবায়ত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন একটি কোম্পানির শেয়ারের কারসাজির তদন্তে কাজ করেনি।

শেয়ার ব্যবসার সাথে জড়িত কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিসেন্ট লিমিটেড, জুপিটার বিজনেস, অ্যাপোলো ট্রেডিং লিমিটেড এবং ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল।

২০২২ সালে জুপিটার বিজনেস এবং ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার অধিগ্রহণের পর এটির বোর্ডে আসন লাভ করে।

দুটি কোম্পানি ফারইস্টের বোর্ডে তাদের প্রতিনিধিত্বের জন্য বেক্সিমকো গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের মনোনীত করে।

ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা জামানুল বাহারকে মনোনীত করে।

অন্যদিকে জুপিটার বিজনেস বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা আলী নওয়াজ ও বেক্সিমকো টেক্সটাইলের জেনারেল ম্যানেজার মাসুম মিয়ার নাম সুপারিশ করে।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেক্সিমকোর নির্বাহীরা পূর্বে বেক্সিমকোর সহযোগী হিসেবে কোম্পানির বোর্ডে দায়িত্ব পালন করলেও, তারা আর সেই পদে নেই। তিনি আরও জানান, গত জুলাই মাসে পরিচালকদের প্রত্যাহার করে নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

১৪ মার্চ বিএসইসি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের জন্য ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে একটি সতর্কতামূলক চিঠি দেয়।

চিঠিতে কোম্পানির ঠিকানা উল্লেখ করা হয় প্যারামাউন্ট হাইটস, ৭ম তলা, পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে। তবে চলতি সপ্তাহে বুধবার সেখানে গিয়ে সেই ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

‘আমি কিছুই জানি না’

এদিকে সিকিউরিটিজ বিধি লঙ্ঘন ও কারসাজির সাথে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ থাকা আব্দুর রউফ নিজেকে বেক্সিমকো গ্রুপের একজন কর্মচারী এবং গ্রুপের ইন্স্যুরেন্স কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে দাবি করেছেন।

শেয়ার কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। শুধুমাত্র কোম্পানির লোকেরাই এই বিষয়ে আরও তথ্য দিতে পারবে।”

কোম্পানির নামে খোলা বিও [বেনিফিশিয়ারি ওনার] হিসাব অনুযায়ী আব্দুর রউফকে ক্রিসেন্ট লিমিটেডের যুগ্ম পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময়ে কিছু নথিতে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে, তবে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।”

জুপিটার বিজনেসের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ডে দায়িত্ব পালন করা আলী নওয়াজ বলেন, “জুপিটার বিজনেস বেক্সিমকোর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান কি না তা আমি জানি না।”

কেন তাকে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে মনোনীত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “সালমান এফ রহমান আমাকে বলেছিলেন, সরকার বীমা কোম্পানির অবস্থান উন্নত করতে চায়।

এর অংশ হিসেবে তিনি আমাকে জুপিটার বিজনেসের প্রতিনিধির ভূমিকার প্রস্তাব দেন। সেই অনুযায়ী আমাকে পরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হয়।”

‘কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি’

পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী বলেন, “শেয়ার ম্যানিপুলেশনের বিষয়টি ২২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছিল কমিশন সভায় আলোচনার জন্য।”

তিনি আরও বলেন, “সাধারণত, কমিশনের বৈঠকে কোনো বিষয় উত্থাপন করতে হলে প্রথমে সচিবালয়ে পাঠানো হয়, যা প্রক্রিয়াকরণ করে কমিশনের কাছে পাঠানো হয়।

তবে বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজির বিষয়টি পরবর্তীতে কমিশন সভায় উত্থাপন করা হয়নি। ফলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিবলী

এই কারসাজির সময়ে শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম সালমান এফ রহমানকে সুকুক এবং জিরো-কুপন বন্ডসহ পুঁজিবাজার থেকে ৪,০০০ কোটি টাকারও বেশি সংগ্রহের জন্য বন্ড অনুমোদনের মাধ্যমে সহায়তা করেছিলেন।

সালমান এফ রহমান বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। আর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর শিবলী সম্প্রতি বিএসইসি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বে নতুন কমিশন ১৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে।

সংবাদ সম্মেলনে মাকসুদ বলেন, “কমিশন অতীতের মতো শেয়ারবাজারে কোনো অনিয়ম বা অসদাচরণ বরদাস্ত করবে না।”

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বিএসইসির তদন্ত ও পরিদর্শন বিভাগের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করলেও বেক্সিমকোর বিষয়ে কেউ আলোচনা করতে রাজি হয়নি।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে অধিদপ্তরে কর্মরত একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমার মেয়াদে আমি বেক্সিমকো সংক্রান্ত কোনো ইস্যুর সম্মুখীন হইনি।”

কীভাবে সব ঘটল

ডিএসইর অনুসন্ধান অনুসারে, সমস্ত বিনিয়োগকারী শেয়ার ব্যবসায় প্রতারণামূলক কার্যকলাপকে নিষিদ্ধ করা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ধারা ১৭-এর বেশ কয়েকটি উপধারা লঙ্ঘন করেছে।

ধারা ১৭ লঙ্ঘন একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

সুবিধাভোগী বিনিয়োগকারী আব্দুর রউফ ছিলেন ইউনাইটেড সিকিউরিটিজের ক্লায়েন্ট। অন্যদিকে ক্রিসেন্ট লিমিটেড প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাথে যুক্ত ছিল।

মোসফেকুর রহমান, মমতাজুর রহমান অ্যান্ড দেয়ার অ্যাসোসিয়েটস জুপিটার বিজনেস, অ্যাপোলো ট্রেডিং, মারজানা রহমান এবং ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ক্লায়েন্ট ছিলেন।

এই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রীন ডেল্টা সিকিউরিটিজ, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ এবং আইসিবি সিকিউরিটিজের সাথে আলাদা বিও অ্যাকাউন্টও রেখেছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, “বিনিয়োগকারীদের একটি গ্রুপ বেক্সিমকো শেয়ারে সার্কুলার লেনদেন করেছিল, যেখানে কিছু বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করেছে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যরা ভুয়া সক্রিয় ট্রেডিং দেখাতে একাধিক লেনদেনে এসব শেয়ার কিনেছে।

“এটি একটি গুরুতর লঙ্ঘন এবং একটি ফৌজদারি অপরাধও। তবে আগের কমিশন ডিএসইর তদন্তে মনোযোগ দেয়নি।”

ডিএসইর অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত বেক্সিমকো শেয়ারের টার্নওভার মূল্য ছিল ৪,৪০৬ কোটি টাকা।

ক্রিসেন্ট লিমিটেড বেক্সিমকো শেয়ারের শীর্ষ ক্রেতা ছিল। ক্রিসেন্ট লিমিটেডের পরিচালক ও যুগ্ম অপারেটর আব্দুর রউফ চারটি বিও অ্যাকাউন্ট দিয়ে শেয়ার লেনদেনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।

এই ৪টি বিও অ্যাকাউন্টের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৩.২৫%।

জুপিটার বিজনেস লিমিটেড দ্বিতীয় শীর্ষ ক্রেতা ছিল। মোসফেকুর রহমান সক্রিয়ভাবে সাতটি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যবসায় অংশ নেন। আট বিনিয়োগকারীর গ্রুপ যৌথভাবে বেক্সিমকো শেয়ারের ২৪.৬১% লেনদেন করেছে।

একই ব্যক্তিরাই শীর্ষ বিক্রেতাদের মধ্যেও ছিলেন। একদিকে তারা শেয়ার কিনেছেন, অন্যদিকে সেগুলো বিক্রি করেছেন—এসব কিছু করা হয়েছে স্রেফ স্টকটিকে সক্রিয় দেখানোর জন্য।

তারা যেভাবে লাভ করেছে

আব্দুর রউফের শেয়ার প্রতি গড় ক্রয়মূল্য ছিল ১২২.২৯ টাকা, এবং তার গড় বিক্রয় মূল্য ছিল ১৪৮.৮১ টাকা। ফলে তিনি প্রতি শেয়ার ২৬.৫২ টাকা আয় করেছেন।

ক্রিসেন্ট লিমিটেডের শেয়ার প্রতি গড় ক্রয়মূল্য ছিল ১৩০.৬৮ টাকা। শেয়ার প্রতি ১৯.৬৭ টাকা লাভ করে এটি ১৫০.৩৫ টাকায় শেয়ার বিক্রি করেছে।

মোসফেকুর রহমান, মমতাজুর রহমান অ্যান্ড দেয়ার অ্যাসোসিয়েটসের শেয়ার প্রতি গড় ক্রয়মূল্য ছিল ১১৩.২৯ টাকা এবং গড় বিক্রয়মূল্য ছিল ১৫১.৬৭ টাকা।

অর্থাৎ প্রতি শেয়ারে তাদের গড় লাভ ৩৮.৩৮ টাকা। মোসফেকুর রহমানের শেয়ার প্রতি ক্যাপিটাল গেইন ছিল ৫৯.৩১ টাকা।

তার শেয়ারের গড় ক্রয়মূল্য এবং গড় বিক্রয়মূল্য ছিল যথাক্রমে ৯১.৪৫ টাকা ও ১৫০.৭৬ টাকা।

জুপিটার বিজনেসের রিয়েলাইজড গেইন ছিল শেয়ার প্রতি ২১.৪১ টাকা, যার গড় ক্রয়মূল্য ১৩২.৩৪ টাকা এবং গড় বিক্রয়মূল্য ১৫৩.৭৫ টাকা।

মারজানা রহমানের শেয়ার প্রতি প্রাপ্ত লাভ ছিল ৩৫.৯৩ টাকা, যার গড় ক্রয়মূল্য ১১৩.২৫ টাকা এবং গড় বিক্রয়মূল্য ছিল ১৪৯.১৭ টাকা।

ক্রয়মূল্য ১৩৪.৩৪ টাকা এবং গড় বিক্রয়মূল্য ছিল ১৬০.৬৮ টাকা ধরে ট্রেডেনেক্সটের প্রতি শেয়ারের রিয়েলাইজড গেইন ছিল ২৬.৩৪ টাকা।

এসব জালিয়াত বিনিয়োগকারীরা তাদের ৫২৬.৪৮ কোটি টাকার অবাস্তব লাভে কোনো পরিবর্তন করেছে কি না তা যাচাই করেনি টিবিএস।

তদন্তে কী পাওয়া গেছে

বেক্সিমকো শেয়ারের লেনদেন পর্যালোচনার পর ডিএসই জানায়, আবদুর রউফ এবং ক্রিসেন্ট লিমিটেড প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একাধিক লেনদেনকে প্রভাবিত করে আইন লঙ্ঘন করেছে যা সক্রিয় লেনদেনের প্রপঞ্চ তৈরি করেছে এবং বেক্সিমকোর শেয়ারের মূল্য ক্রমশ বাড়িয়ে তুলেছে।

তারা মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে এভাবে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করেছে।

ক্রিসেন্ট লিমিটেড এবং মারজানা রহমান বিভিন্ন সময়ে লেনদেন করেছে, কিন্তু বেনিফিশিয়াল ওনারশিপে কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে আইন ভঙ্গ করেছে।

মোসফেকুর, মমতাজুর এবং তাদের সহযোগীরা, মারজানা এবং ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে মিলে ধারাবাহিক লেনদেনের মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করেছে।

এছাড়া, মোসফেকুর, মমতাজুর, জুপিটার বিজনেস, অ্যাপোলো ট্রেডিং লিমিটেড, মারজানা এবং ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল সক্রিয় ট্রেডিংয়ের ভুয়া এবং বিভ্রান্তিকর চেহারা তৈরি করে আইন লঙ্ঘন করেছে।

পাশাপাশি, মোসফেকুর, মমতাজুর এবং তাদের সহযোগীরা আইনি প্রক্রিয়া না মেনে বেক্সিমকোর ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার অধিগ্রহণ করে অধিগ্রহণ ও দখলের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।

সূত্র : টিবিএস

10 ভিউ

Posted ১:০৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com