রবিবার ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পূর্ব তিমুর ইতিহাস

বুধবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৮
434 ভিউ
পূর্ব তিমুর ইতিহাস

কক্সবাংলা ডটকম(৭ নভেম্বর) :: একটি উজ্জ্বল দুপুরে আমরা পাঁচ বন্ধু বসে আছি পাহাড়ের উপরে বড়সড় এক ঝুল বারান্দায়। নীচে বয়ে চলেছে তিমুর সমুদ্র। বারান্দা থেকে তাকালে চোখে পড়ে দিগন্ত বিস্তৃত সাগর আর পাহাড়ের সারি। এর মধ্যে দিয়ে রাস্তা। আহ কি সুন্দর! জীবন যেন থমকে গেছে এই সুন্দরের কাছে। আমরা অনবরত গল্প করছি, হাসছি, গলা উঁচিয়ে গান গাইছি, ছবি তুলছি, খাচ্ছি, আবৃত্তি করছি। মনে হচ্ছিল, ‘মোরা বন্ধনহীন, জন্ম স্বাধীন, চিত্তমুক্ত শতদল।’

শহর থেকে অনেকটা দূরে এখানে বসে টানা আড্ডা মারতে মারতে মনেই হয়নি সময় বয়ে চলেছে। সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়েছে। সৈকতে বসে সূর্যাস্ত দেখতে হলে আমাদের এখনই বেরিয়ে যেতে হবে। এরমধ্যে আমরা খেয়ালই করিনি ‘চা-বার’ নামে এই রেস্তোরাতে আরও কোনো অতিথি আছে কি না। ভুলেই গিয়েছিলাম আমাদের সবার বয়স ৫০ পেরিয়েছে। ভুলে গিয়েছিলাম ব্যক্তিগত দুঃখ-কষ্ট। আসলে সমুদ্র আর পাহাড়ের শক্তিটাই এমন যে মানুষের ছোট-বড় দুঃখবোধ, পাওয়া-না পাওয়াকে ভুলিয়ে দেয়। প্রকৃতির শক্তি মানুষের ভেতর নতুন প্রাণ সৃষ্টি করে।

এ কোথায় এসে নামলাম:

নিজেদের মধ্যে নতুন একটি প্রাণ সঞ্চার করার জন্যই হুট করে আমরা চার বন্ধু এমন একটা দেশে গিয়ে পড়লাম, যে দেশটি ঠিক সাজানো গুছানো তথাকথিত আধুনিক দেশ নয়। যাকে বলা হয় ‘ভার্জিন বিউটি’। তবে দেশটিকে ঘিরে আছে সমুদ্র আর পাহাড়। সমুদ্রের তিন রঙা জল আর সুউচ্চ পাহাড়ের সারির ভেতর দিয়ে আমাদের বিমানটা যখন নামছিল, তখন একবার মনে হলো কি জানি বিমানটা ভুল করে সমুদ্রেই নেমে যাচ্ছে নাতো?

না কোনো ভুল হয়নি। আমাদের বিমানটা সমুদ্রের কোল ঘেঁষে এসে নামল পূর্ব তিমুর নামের ছোট্ট দ্বীপটির রাজধানী ডিলির প্রেসিডেন্ট নিকোলাউ লোবাতো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

প্রথম প্রেম:

বন্ধু শারমিনের সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে এসে দেখলাম একদম আনকোরা একটি শহর। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ সবেমাত্র উঠে দাঁড়িয়েছে নিজের পায়ে। বোনা হচ্ছে একটি একটি করে উন্নয়নের সুতো। প্রশস্ত রাস্তা, পথের দু’পাশে অজস্র ফুলের গাছ, পাহাড়ের সারি। বাড়িঘরগুলো সাধারণ, কোন কোনটা পর্তুগীজ ধাঁচের।

মূল শহরে ঢোকার মুখে সড়কদ্বীপে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতার বীর সেনানীর স্ট্যাচু। আর তারপরই শুরু হলো সমুদ্র। আকাশের রঙের ছায়া পড়েছে সাগরের বুকে। অসংখ্য পাল তোলা নৌকা, ছোটবড় জাহাজ ভেসে বেড়াচ্ছে পানিতে। ভাবতেই ভালো লাগল এরকম একটা পরিবেশে আমরা কাটাবো আগামী কয়েকটা দিন।

কুমিরের প্রাদুর্ভাব:

ডিলিতে ঢুকেই লক্ষ্য করলাম চারিদিকে কুমিরের একটা প্রভাব। ছোট বড় বিভিন্ন মাপের কুমিরের ছবি দেখতে পারছি। হঠাৎ মনে হলো আরে পূর্ব তিমুরের মানচিত্রটাও কুমিরের মতো। এই মানচিত্রটা কিন্তু এমনি এমনিই কুমিরের মতো নয়, এটা আসলে একটা কুমিরেরই শরীর। পূর্ব তিমুরের সংস্কৃতিতে পর্তুগিজ, রোমান ক্যাথলিক এবং ইন্দোনেশীয় প্রভাব রয়েছে। অসট্রোনেশিয়ান বিভিন্ন গল্প প্রচলিত রয়েছে তিমুরিজ সংস্কৃতিতে।

কথিত আছে অনেক বছর আগে একটি বুড়ো কুমির খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তখন এক তরুণ তাকে অনেক সাহায্য করেছিল। পরে সেই ছেলের ঋণ শোধ করার জন্য কুমিরটি তিমুর দ্বীপের রূপ নেয়। যে কারণে তিমুর দ্বীপের মানচিত্র দেখতে কুমিরের মতো। ছেলেটি সেই দ্বীপে থাকতে শুরু করে। আর তিমুরের আদি মানুষ সেই ছেলেটির বংশধর।

আর ইতিহাস বলে ৪২,০০০ বছর আগে এখানে প্রথম মানুষের বসতি হয়। অন্তত শেষ তিনটি অভিবাসী জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এখনো পূর্ব তিমুরে আছে।

পর্তুগিজ দুর্গ:

চা বার থেকে বের হয়ে আমরা গেলাম পর্তুগিজ একটি দুর্গ দেখতে। মাউবারা গ্রামে ঠিক ঢোকার মুখেই এই দুর্গটা দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গটা প্রথমে ছিল ডাচদের। পরে ১৮৫১ সালে পর্তুগিজরা এটি দখল করে। সমুদ্রের ঠিক পাড়ে দাঁড়ানো এই দুর্গটির কামানের মুখ সাগরের দিকেই তাক করা। সাগর দিয়ে আসা শত্রু বাহিনীকে পরাস্ত করার জন্যই বোধকরি কামানের মুখটি সাগরের দিকে ফেরানো। পর্যটকরা আসে বলে ঠিক এই দুর্গের সামনেই কারুপণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে স্থানীয় নারীরা। এদের প্রায় সব পণ্যই বাঁশ, বেত, খড় আর সুতো দিয়ে তৈরি। দেখলাম বড় বড় সাইজের বালিশও বিক্রি হচ্ছে।

ডলফিন আর তিমি দেখা:

এর পরদিন আমাদের মাঝ সমুদ্রে গিয়ে তিমি আর ডলফিন দেখার কথা। সেইভাবেই টিকেট কেটে রেখেছিল শারমিন। পানি সংক্রান্ত আমার ভীতি ভয়াবহ পর্যায়ে। কিন্তু বন্ধুদের উত্তেজনা দেখে আমার চেহারায় হাসি ফুটিয়ে রাখলাম। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি হওয়ার কারণে সেই প্রোগ্রাম বানচাল হল। এবার সবার সাথে আমিও মুখে আফসোসের ভাব ফুটিয়ে তুললাম। বছরের সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মাঝ সমুদ্রে গিয়ে ডলফিন, তিমি দেখা যায়। করা যায় স্কুবা ডাইভিং।

খানিকটা ইতিহাস:

এই পূর্ব তিমুর ষোড়শ শতকে পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। ১৯৭৫ পর্যন্ত পরিচিত ছিল পর্তুগিজ তিমুর হিসেবে। ২৮ নভেম্বর রেভ্যুলিউশনারি ফ্রন্টাগপ এন ইনডিপেনডেন্ট ইস্ট তিমুর (ফ্রেতিলিন) এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র ৯ দিন পরই ইন্দোনেশিয়া এটি দখল করে নিয়ে ২৭তম প্রদেশ হিসাবে ঘোষণা করে। এর পরের সময়টা ছিল যুদ্ধ সংঘাতের। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে ইন্দোনেশিয়া চলে যায়। ২০০২ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে পূর্ব তিমুর। ২০১২ তে শান্তিরক্ষী বাহিনী তাদের শান্তিরক্ষার কাজ শেষ করে।

ঊনবিংশ শতক পর্যন্ত পূর্ব তিমুর একটি অবহেলিত বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। কফি আর চন্দনকাঠ ছিল মূল রপ্তানি পণ্য। পর্তুগিজরা অবহেলা ভরে ও বৈষম্য করে শাসন করেছিল। ১৯৭৪ এর পর পর্তুগিজরা চলে যায় এবং শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ১৯৭০ সালে তিমুর সমুদ্রে পেট্রোলিয়াম পাওয়ার পর থেকে বেশ ঝামেলা শুরু হয়েছিল। পেট্রোলিয়াম ছাড়াও এর আছে কফি, দারুচিনি এবং কোকোয়া।

সূর্য ডোবার পালা:

তিমুরে যে কত শত সৈকত আছে, এর হিসেব করা বেশ কঠিন। আমরা প্রতিদিনই একটি নতুন সৈকতে বসে সেদিনের সূর্যকে বিদায় জানাতাম। ‘সূর্য ডোবার পালা আসে যদি আসুক বেশতো। গোধূলির রঙে হবে এ ধরণী স্বপ্নের দেশতো।’ গানের প্রতিটি কথাই যেন দেখতে পেয়েছি আমাদের চারধারে। বিকেল থেকে দেখছি সমুদ্রের পানিতে তিন-চারটা রঙ খেলা করছে। নীল, গাড় নীল, টারকোয়েজ সবুজ, সাদা এবং কোথাও কোথাও কালচে ছাই। কিন্তু সূর্যটা যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে, তখনই সাগর তার রং পাল্টায়। পানি হয়ে যায় সোনারঙা। এখানেই বাচ্চারা খেলছে, বন্ধুরা বসে গল্প করছে, ফেরিওয়ালা মাছ ভাজা বিক্রি করছে। কিন্তু কোথাও কোনো কোলাহল নেই, নেই নোংরা-আবর্জনা।

একি! পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে যিশু:

ডিলিতে ঢোকার পর থেকেই আমরা দেখেছি পিতা জিসাস একটি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে পুরো শহরটিকেই শান্তির বাণী বিতরণ করছেন। ইনি ক্রিস্টো রাই, ৪৪ ফুট উঁচু একটি মূর্তি। যিশু দাঁড়িয়ে আছেন একটি গ্লোবের উপরে। ইন্দোনেশিয়ার সরকার এটি বানিয়ে দিয়েছে। ১৯৯৬ সালে সুহার্তো এটি উম্মোচন করেছিলেন।

ফাটুকামা পেনিনসুলায় যাওয়ার পর দেখলাম যিশুর পদধূলি নেওয়ার জন্য ১০০০ সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে। কাজেই আমরা এই অভিযানে ইস্তফা দিয়ে আবার বসলাম সাগর পাড়ে। দিনের আলো নিভে যেতে যেতে দেখলাম ক্রিস্টো রাইয়ের চারপাশের আকাশটাতে লাল আভা ছড়িয়ে পড়েছে। সাথে সাগরের গর্জন। মনে হলো যেন প্রভু যিশুর শান্তির বাণী শুনতে পাচ্ছি। আঁধার নেমে আসার সাথে সাথে ক্রিস্টো রাইতে নানারঙের আলো জ্বলে উঠল। সে এক মোহনীয় দৃশ্য।

পূর্ব তিমুরকে চেনা :

তিমুরের মানুষগুলো খুব সাধারণ, সহজ-সরল এবং শান্তিপ্রিয়। আর্থিকভাবে অনুন্নতই বলা যায়। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হল, এখানে ডলারে কেনাবেচা হয়। ১০ ডলারের নোট সবচেয়ে প্রচলিত।

দেশটির জনসংখ্যার ৯৬.৯ ভাগই রোমান ক্যাথলিক। বাকি মাত্র ৩ ভাগ অন্য ধর্মাবলম্বী। ১৫ টা ভাষা চালু থাকলেও তেতুম অফিশিয়াল ভাষা। আর চলে পর্তুগিজ। শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ ইংরেজি জানে। স্কুলগুলোতেও পর্তুগিজ পড়ানো হয়। তবে আমেরিকান ও অস্ট্রেলিয়ান স্কুলও আছে। ঠিক পার্লামেন্ট হাউজের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট তিমুর।

১১টা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও চিকিৎসা সেবা খুব ভালো নয়। তবে সবচেয়ে খারাপ খবর হলো এখানে ধূমপায়ীর হার অনেক বেশি। তিমুরে প্রিয় খেলা ফুটবল। বাইক চালনাও এদের খুব প্রিয়। সহিংসতা ও নারী নির্যাতনের হার কম। তবে শিশুরা অপুষ্টির শিকার।

খাবার-দাবার:

সন্ধ্যার পরপর রাস্তার ধারে বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের মাছের টিক্কা, কাবাব জাতীয় জিনিস, আছে গরম গরম মাছ ভাজা, পাওয়া যায় কালামারি ফ্রাই, পোড়ান ভুট্টা, মাংসের ফ্রাই। তিমুরে নানা ধরনের মাছ পাওয়া যায়। আছে প্রচুর রসালো ফল। পেপে, তরমুজ, কলা, ড্রাগন ফল, আনারস, বাংগিসহ আরও অনেক ফল। পথে পথে বিক্রি হচ্ছে ডাব আর নারকেল। তাদের মূল খাবার আঠালো ভাত আর কলমি শাক, তেতুম ভাষায় কানকুন। এছাড়া শূকরের মাংস, মাছ, পুদিনা পাতা, তেঁতুল, ভুট্টা, সবজি আর ফল তাদের খাবারের তালিকায় আছে।

সাগর পাড়ে থাই, তিমুরিজ, ফিলিপিনো, ইন্দোনেশীয় ও চাইনিজ খাবারের দোকান আছে। রয়েছে শুধু মাছ খাওয়ার দোকান। রান্নাও খুব মজাদার। তবে সব দোকানই বাঁশ, বেত বা কাঠের তৈরি। তিমুরে বাংলাদেশিরা বড় বড় ব্যবসার সাথে জড়িত। আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা বাংলাদেশিদের হাতে।

পোপ দ্বিতীয় পলকে দেখতে যাওয়া ও উমা লুলিক:

ক্রমশ আমাদের ঘুরে বেড়ানোর দিন কমে আসছে। আমাদের ফিরে যেতে হবে, তাই সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়লাম পোপ দ্বিতীয় জন পলের স্ট্যাচুটা দেখতে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে আমরা পৌঁছলাম শহর থেকে একটু দূরে, যেখানে পাহাড়ের ওপর ক্রুশ দণ্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন পোপ। সেখানে যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম তিমুরবাসীদের আদি বা পবিত্র বাড়ি। পর্তুগিজ ধরনের বাড়ির পাশাপাশি তিমুরে রয়েছে এ ধরনের ঐতিহ্যবাহী বাড়ি। তেতুম ভাষায় বলে উমা লুলিক (পবিত্র বাড়ি)।

তিমুরের ভুবনবিখ্যাত কফি:

সকাল সকাল বেড়িয়েছি বলে সকালের নাস্তা খেলাম পথে একটি তিমুরিজ কফি শপে। এ প্রসঙ্গে বলে নেওয়া ভালো যে আমি এবং আমরা এই কয়দিনেই তিমুরের ভুবনবিখ্যাত কফির ভক্ত হয়ে উঠেছিলাম। আহা কি যে স্বাদ, কি তার গন্ধ! কফি যে এত ধরনের হতে পারে, তা আমার ধারণাই ছিল না।

তাইস মার্কেট:

গেলাম তাইস মার্কেটে। এটি একদম খাঁটি তিমুরি কারুপণ্যের বাজার। হাতে তৈরি লুঙ্গি, চুড়ি, বাঁশ বেতের জিনিস, ব্যাগ, মুখোশ, ট্র্যাডিশনাল মুকুট, কুমির এবং আরও কিছু জিনিস। অধিকাংশ বিক্রেতাই নারী।

সমুদ্র নিষাদ:

অনেক আনন্দ, অনেক ঘোরাঘুরির পর সাগরের তীর থেকে মিষ্টি কিছু স্মৃতি নিয়ে, মনের শক্তি বাড়িয়ে যখন ফিরছি, তখন নিজের অজান্তেই মনে মনে আবৃত্তি করছি —

‘কখন যে কোন মেয়ে বলেছিল হেসে

নাবিক তোমার হৃদয় আমাকে দাও,

জলদস্যুর জাহাজে যেয়ো না ভেসে

নুন ভরা দেহে আমাকে জড়িয়ে নাও।

জল ছেড়ে এসো প্রবালেই ঘর বাঁধি

মাটির গন্ধ একবার ভালোবেসে

জল ছেড়ে এসো মাটিতেই নীড় বাঁধি

মুক্তো কুড়াতে যেয়ো না সুদূরে ভেসে।

সে তো বলেছিলো, নীল পোশাকটি ছাড়ো

দু’চোখে তোমার সাগরের ফেনা মাখা,

আকাশের রঙ হৃদয় কি এতো গাঢ়?

গাঙচিল-মন ঢেউয়ে ঢেউয়ে মেলে পাখা।’

শাহানা হুদা রঞ্জনা

434 ভিউ

Posted ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com