বিশেষ প্রতিবেদক :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রসাশন সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার বিভিন্নস্থানে ২৬টি অবৈধ করাতকল রয়েছে।
এসব করাতকল থেকে বন বিভাগের রেঞ্জার,রাজনৈতিক নেতা ও পাঁচজনের সাংবাদিক সিন্ডিকেট প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা মাসোহারা নেয় বলে করাতকল মালিকরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি পেকুয়ায় নতুন ইউএনও মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় জোগদানের পর থেকে অবৈধ করাতকল,পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছে প্রশাসন।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁসিয়াখালী, মৌলভী বাজার ও রাজাখালী ইউনিয়নের আরবশাহ বাজার এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা সহকারী কমিশন ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রূম্পা ঘোষ।
এই বিশেষ অভিযানে অবৈধ আরও ৭ করাতকল সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ অভিযানে পেকুয়ায় ২৬টি অবৈধ করাতকলের মধ্যেএ পর্যন্ত ২৫টি করাতকল সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানকালে অবৈধ করাতকলে অভিযানের সংবাদ পেয়ে মালিক ও শ্রমিকরা পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) জানান, আমরা করাতকল বিধিমালা আইন অনুযায়ী উপজেলায় আরও ৭টি করাত কল সিলগালা করেছি।
দীর্ঘদিন ধরে এসব করাতকলে কাঠ পাচারকারীরা পার্শ্ববর্তী বন বিভাগের পাহাড়ের সামাজিক বনায়ন সহ পাহাড়ের মুল্যবান বাগানের কাঠ মৌজুদ ও চিরাই করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছিল।
তিনি আরো বলেন অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।।
Posted ৪:২৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta