মো: ফারুক,পেকুয়া(১ আগষ্ট) :: ২০০৩ সাল ২০০৯ সালের কমিটিতে বাহাদুর শাহ্ সভাপতি, ইকবাল হোছাইন সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। সর্বশেষ ৮ বছর পর ১ আগষ্ট সন্ধ্যা ৬টায় জেলা বিএনপি’র ঘোষিত কমিটিতে তারাই সভাপতি সম্পাদক। এ নিয়ে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতি আস্তা প্রকাশ করে অভিনন্দন ও বিবৃতি প্রকাশ করছে। আবার কেউ কেউ সাধারণ সম্পাদক ইকবালকে তাদের খারাপ সময়ে পাশে না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও ঘোষিত ৬জনের কমিটি থেকে তাৎক্ষনিকভাবে ১জন পদত্যাগেরও ঘোষনা দেন।
জানা গেছে, সর্বশেষ পর্যন্ত পেকুয়ার তৃণমূল বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠন এর আস্থা ছিল সদর ইউপি’র চেয়ারম্যান সাবেক ও বর্তমান উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি বাহাদুর শাহ্ ১/১১ থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের দুই মেয়াদের ক্ষমতায় বিভিন্ন জেল জুলুম ও নির্যাতনের সময় দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে তিনি সময় দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের মামলার খোঁজ খবর তিনি রেখেছেন অদ্যবধি রাখছেন। সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করেছেন বর্তমান শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য পেকুয়ার সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদের সাথে।
যার কারণে পেকুয়া উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের আস্তাবাজন নেতা তিনি। তবে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইনের প্রতি নেতাকর্মীরা অনেকদিন ধরে হতাশা প্রকাশ করে আসছেন। রাজনৈতিক খারাপ সময়ে তাকে পাশে না পাওয়ারও অভিযোগ অনেক রয়েছে। তারপরও জেলা বিএনপি আস্থা রয়েছে এ দুজনের প্রতি। যার কারণে সর্বশেষ ঘোষিত কমিটিতে তারা দু’জন সভাপতি সম্পাদক।
আরো জানা গেছে, ১ আগষ্ট জেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক ইউসুপ বদরী’র ফেসবুক প্রেস নোটে জেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: শামীম আরা স্বপ্না সাক্ষরিত বাহাদুর শাহ্ সভাপতি, মাষ্টার জোবাইর সি:সহ-সভাপতি, ইকবাল হোছাইন সাধারণ সম্পাদক, ইউপি সদস্য এম শাহনেওয়াজ আজাদ যুগ্ন-সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান যুবদলের সাবেক সভাপতি শাফায়েত আজিজ রাজু, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুপ রুবেলকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষনা করে।
ওই কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হলে তাৎক্ষনিকভাবে ওই কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুপ রুবেল। শাফায়েত আজিজ রাজু তাকে কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করার বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া না জানালেও বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করার কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে বাহাদুর শাহকে সভাপতি রেখে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে নতুন একজনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
পেকুয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অনেক মামলা মোকদ্দমারও আসামী হয়েছি। তারপরও আমাদের মূল্যায়ন নাই। তবে সালাউদ্দিন সাহেব যে কমিটি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন তা আমরা মানি।
বর্তমান কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুপ রুবেল বলেন, আমি বিএনপি’র মূল রাজনীতির সাথে জড়িত নই। যুবদলের রাজনীতি করি। আমাকে সহ-সাংগঠনিক করা হয়েছে আমার মতামত না নিয়ে। যার কারণে আমি এ পদ থেকে পদত্যাগ করছি। দ্রুত পদত্যাগ পত্র আমি জেলা বিএনপি ও পেকুয়ার সভাপতি সম্পাদক বরাবর লিখিত আকারে পাঠাবো।
উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, জাতীয়তাবাদি ও সালাউদ্দিন স্যারের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। তিনি যাদের কমিটি দিয়েছেন তাদেরকে আমরা সাদরে গ্রহণ করলাম। সাধারণ সম্পাদক ইকবালের সাথে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বললে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে। তাকেই সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। অভিনন্দন রয়েছে তার প্রতি।
বর্তমান ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন বলেন, আমরা বিএনপি’র জাতীয়তাবাদি ও আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ স্যারের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। তিনি আমাকে আবারো সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মনোনীত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকতে পারে তবে প্রতিহিংসা নাই।
উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি বাহাদুর শাহ্ বলেন, আসলে নতুন কমিটির ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। বিস্তারিত জেনে নিয়ে আপনাদের জানাবো।
Posted ১১:৫৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta