মোঃ ফারুক,পেকুয়া(১২ডিসেম্বর) :: চকরিয়া-পেকুয়ায় নৌকার মনোনীত প্রার্থী জাফর আলমকে বিজয়ী করতে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে বিশাল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পেকুয়া চৌমহুনীস্থ শ্রমিকলীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।
পেকুয়া উপজেলা ওলামালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাদেকুর রহমানের পবিত্র কোরান তেলোয়াতের মাধ্যমে শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল আবছারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।
বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে ১৩ জন প্রার্থীকে নিজ হাতে মনোনয়ন দিয়েছেন। তার মধ্যে জাফর আলম একজন। কক্সবাজার জেলা আ’লীগের নেতৃত্বে জেলার ৪টি আসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। যেকোন মূল্যে ভোটের লড়াইয়ে নৌকাকে বিজয়ী করতে মাঠে নামতে হবে।
ব্যক্তি কারো পছন্দ আবার কারো অপছন্দ হলেও নৌকা কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার। নৌকাকে বিজয়ী করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ সরকার দুই মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হবার পর থেকে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার কাজ করেছে।
শুধুমাত্র কক্সবাজার শহরে ৫৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। অথচ অতীতে দুই উপজেলার জন্য অন্যকোনো সরকার এত পরিমাণ টাকার উন্নয়ন করেনি। কেউ করে থাকলেও উন্নয়নের চেয়ে বেশির ভাগ টাকা লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- চকরিয়া-পেকুয়াবাসীর সামনে এখন দৃশ্যমান। এখনো দুই উপজেলায় বর্তমান সরকারের অনেকগুলো মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি ঘরে ঘরে ভাতা প্রদান করছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামাত জোট আমলে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় যত উন্নয়ন কাজ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হয়েছে উন্নয়ন কাজের বরাদ্দের টাকা হরিলুট হয়েছে। জনগণ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে তার সত্যতা পাবে। অতীতের দুই উপজেলায় উন্নয়নে বৈষম্য থাকলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনো বৈষম্য নেই। বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার তুলনায় পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নে দ্বিগুণ উন্নয়ন কাজ করছে আওয়ামীলীগ সরকার। চকরিয়া-পেকুয়ায় নৌকাকে বিজয়ী করে আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনাকে গুরুত্ব দেয়না। জনগণের কল্যাণের দিকে সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেইজন্য চকরিয়া উপজেলার চেয়ে পেকুয়া উপজেলাতে বড় ধরনের মেগা উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। আমাদেরকে বৈষম্যমুক্ত, উন্নয়নসমৃদ্ধ চকরিয়া-পেকুয়া গড়তে হবে। তাই আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের প্রয়োজনে চকরিয়া-পেকুয়া আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করতে হবে। সেজন্য দলের সকলস্তরের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সহসভাপতি ও চকরিয়া-পেকুয়া নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচন নৌকার। নৌকাকে বিজয়ী করতে আপনাদের একযোগে কাজ করতে হবে। আর জেলা আ’লীগের নেতৃত্বে নির্বাচন পরবর্তি উপজেলা আ’লীগের কমিটি নতুনভাবে সাজানো হবে। আমরা জানি জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার আওয়ামী রাজনীতর জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। তার মূল্য জেলা আ’লীগ থেকে দেয়া হবে। যার জন্য আপনাদের নৌকাকে বিজয়ী করতে যা যা করার তা করতে হবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নৌকাকে বিজয়ী আমরা ঐক্যবদ্ধ। কেউ ডাকুক আর নাই ডাকুক পেকুয়ায় নৌকাকে বিজয়ী করতে জানপ্রাণ দিয়ে লড়ে যাব।
উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সদস্য আবু হেনা মুস্তাফা কামাল, জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মিজানুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ন-সম্পাদক জয়নাল আবদীন, পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম শহিদুল্লাহ, যুগ্ন-সম্পাদক আবুল শামা শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজিউল ইনসান, সদস্য মাশুক আহমদ, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি শফিউল আলম ও ওলামালীগ নেতা শফিকুর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন-সম্পাদক সম্পাদক ও রাজাখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান, ছৈয়দুল হক, সদস্য মাশুক আহমদ, কামাল হোসেন এমকম, মগনামা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মোঃ ইউনুছ, মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ারুল আজিম বাবুল, ওসমাণ গণি বাবর, মাষ্টার আহমদ হোসেন, ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি শাহালম, শ্রমিকলীগ নেতা রবিউল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক ওসমাণ সরওয়ার বাপ্পি, ইউপি সদস্য আবু ওমর, সাবেক ইউপি সদস্য আবদু জলিল, সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বারবাকিয়া যুবলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সম্পাদক আবুল কালাম, টইটং যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক, সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, শিলখালী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফরিদ, সম্পাদক মোঃ তুষার ইমরান, মগনামা যুবলীগের সম্পাদক আবদু রহিম, রাজাখালী যুবলীগের সম্পাদক আনসারুল ইসলাম টিপু, উজানটিয়া যুবলীগের সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন, যুবলীগ নেতা কপিল উদ্দিন, নুরুল আজিম, আব্বাছ উদ্দিন, আনোয়ার, আবছার, আজগর আলী, মাষ্টার রেজাউল করিম, জাফর আলম, হারুনুর রশিদ, নুরুল হোসেন, শাহাজাহান, আনছার উদ্দিন, আলমগীর, জালাল আহমদ, জয়নাল আবদীন, আজমগীর, জাহাঙ্গীর, ছাত্রলীগ নেতা ফারুক আজাদ, মিরাজ উদ্দিন।
Posted ১:০০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta