নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৯ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে আ’লীগ নেতার পাকা ধান লুট করেছে দুবৃর্ত্তরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তবে পুলিশের উপস্থিতি ও পক্ষপাতকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে নীতিবাচক পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। পুলিশ উপস্থিতিতে অপর পক্ষ ইউনিয়ন আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা হাজী শাহ আলমের আমন ক্ষেত লুট হওয়ায় স্থানীয় ক্ষমতাসীনদল আ’লীগ এ ঘটনায় চরম ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। পাশাপাশি তারা এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনকসহ উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে পুলিশের অনৈতিকতার বিরুদ্ধে প্রতিকার নিতে উদ্যেগ নিচ্ছেন বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার ৯ নভেম্বর সকালে রাজাখালী ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পেকুয়া থানার এস,আই শিমুল বড়–য়া পুলিশের উপস্থিতিতে ফসল লুটের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, জায়গাটি বিরোধপূর্ন। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফসল কাটা ও জমির মালিকানা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। পুলিশ গিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত করেছে। কোন পক্ষকে জমিতে অনুপ্রবেশ না করতে বলা হয়েছে। কাটা স্তুপকৃত ফসল স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, রাজাখালী মৌজার ২০ শতক জমি নিয়ে পালাকাটা এলাকার মৃত হাজী আজগর আলীর ছেলে ইউনিয়ন আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী শাহ আলম ও মৃত মেহের আলী সিকদারের ছেলে মৌলভী নুরুল কাদেরের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
শাহ আলমের দাবী, এ জায়গা তার পিতা তাকে রেজিস্টার্ড দানপত্রমুলে কবলা দেন। বিএস খতিয়ান তার নামে চুড়ান্ত প্রচার আছে। জমিটি তার ভোগদখলীয়। মৌলভী নুরুল কাদের গং সন্ত্রাসী কায়দায় জবরদখলের পায়তারা করছে। চলতি আমন মৌসুমে তিনি জমিতে ফসল রোপন করেন। ওই দিন পুলিশ ম্যানেজ করে ভাড়াটে অস্ত্রধারীদের জড়ো করে ফসল লুট করছিলেন।
মৌলভী নুরুল কাদের জানায়, ২০ শতক জমি পৃথক দুটি দলিল মুলে তার স্ত্রী নুরুন্নাহার ক্রয় করেছেন। শাহ আলমের ভাই হাজী আলামিয়া এ জমি বিক্রি করেছেন আবুল কাসেমকে। তারা ২য় কবলা গ্রহীতা। শাহ আলমের স্বত্ত নয়। অহেতুক তাকে হয়রানি করছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া জানায়, জমিটি বিরোধীয়। গত কয়েক বছর ধরে দু’পক্ষের মধ্যে আধিপত্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ স্তুপকৃত কিছু কাটা ধান আমার জিম্মায় দিয়েছেন। বৈঠকের কথা আছে।
