নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২০ ডিসেম্বর) :: পেকুয়ায় উদ্বোধন হল মুক্তিযোদ্ধের বিজয় মেলার। বুধবার ২০ ডিসেম্বর শহীদ জিয়াউর রহমান উপকুলীয় কলেজ মাঠে মুক্তিযোদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধন হয়েছে। ওই দিন বিকেলে কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে মেলার আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় এক আলোচনা সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
কলেজ মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। মুক্তিযোদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আ’লীগ নেতা এস,এম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উদযাপন পরিষদ সদস্য সচিব ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিচারন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আ’লীগ সদস্য বরইতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া, জেলা আ’লীগ সদস্য মিজানুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা আ’লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাষ্টার ছাবের আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রবাসী নেতা জাবেদ মোহাম্মদ শামশুল হুদা ছোট।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সহসভাপতি এডভোকেট আমজাদ হোসেন, জেলা আ’লীগ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল চৌধুরী, জিএম আবুল কাসেম, উম্মে কুলসুম মিনু, জেলা আ’লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কামাল হোসেন, আ’লীগ নেতা এটিএম বখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এমকম কামাল, কো-চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ বিএ, মফিজুর রহমান, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, এস,এম শাহাদাত হোসাইন, পেকুয়া উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা নুরুল আবছার, পেকুয়া উপজেলা সৈনিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হিরু, উজানটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগের সম্পাদক রশিদ আহমদ, সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আজম খান, সাধারন সম্পাদক বেলাল উদ্দিন বিএসসি, পেকুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হানিফ চৌধুরী, বারবাকিয়ার সভাপতি আবুল হোসাইন শামাজাতীয় পার্টির সভাপতি এস,এম মাহাবুব ছিদ্দিকী, যুবলীগ নেতা আজমগীর প্রকাশ আজম।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘ ৪৭ বছরের ইতিহাসে পেকুয়ায় মাইলফলক হয়েছে মুক্তিযোদ্ধের বিজয় মেলা অনুষ্টানের মাধ্যমে। বাঙ্গালীর দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর জাতি এ মাসে চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযোদ্ধে অকুতোভয় সংগ্রাম হয়েছে। আমরা শোষন বঞ্চনা ও পশ্চিমা শাসক গোষ্টীর শোষনের বিরুদ্ধে মহান সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ি।
বাঙ্গালীরা বীরের জাতি। জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের স্মরন করতে এ বিজয় মেলা অত্যন্ত গুরুত্ববহন করে। এ দিকে দশদিন ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধের বিজয় মেলা বুধবার থেকে পেকুয়ায় আরম্ভ হয়েছে। মেলায় মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিচারন ও স্মৃতি রোমান্থনকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
গৌরব উজ্জল সময়ে যারা মাতৃভূমির জন্য এক সাগর রক্ত অবগাহন করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে সে সব বিষয়ে স্মৃতিচারন হবে। বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রেষ্ট সন্তান ও সাহিত্য কবি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রতিদিন মঞ্চে স্মৃতিচারন করবেন। মেলার বিশেষ আকর্ষন সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ঘিরে। প্রতিদিন মঞ্চস্থ হবে সংগীত সন্ধ্যা।
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের আলোচিত সংগীত শিল্পীরা মেলায় গান পরিবেশন করবেন। বর্তমান সময়ের বেশ কিছু জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পীকে আমন্ত্রন করা হয়েছে। তারাই দর্শকদের মন মাতাবেন।
Posted ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta