নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৪ আগষ্ট) :: পেকুয়ায় আঞ্চলিক মহাসড়ক(এবিসি সড়ক) থেকে বিপুল পরিমাণ গাছ লুট করা হয়েছে। সওজ বিভাগ সড়ক সম্প্রসারন করছিলেন। এ সময় ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি সড়ক বিভাগ অধিগ্রহন করে। এবিসি সড়কে সবুজ বৃক্ষ সৃজিত হয়েছে। উপকুলীয় সবুজ বেষ্টনীর আওতায় এবিসি সড়কে সবুজ বৃক্ষরাজি সৃজিত হয়েছে।
২৪ আগষ্ট শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে এবিসি সড়ক থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক বৃক্ষ কেটে সাবাড় করে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি পয়েন্টে এবিসি সড়ক থেকে এ সব বৃক্ষ লুট হয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, অবিভক্ত পেকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাওলানা নুরুল হোসাইন এর মালিকানাধীন অধিগ্রহনকৃত অংশ থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক আকাশ মনি বৃক্ষ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এ সময় ব্যাপক আতংক ও ভীতি ছড়িয়ে মাঝারি সাইজের এ সব বৃক্ষ তারা লুট করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবরপাড়ার মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ কক্সবাজার জেলা সদস্য এস,এম শাহাদাত হোসাইন গাছ লুটে নেতৃত্ব দেয়।
এ সময় তার নেতৃত্বে সদর ইউনিয়নের হরিণাফাড়ি এলাকার মৃত ওবাইদুল হক সিকদারের পুত্র মোহাম্মদ হোসন, তার পুত্র ইফতেখার, অপর ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম বাপ্পী, মৃত মোজাম্মেল হোসাইনের ছেলে আবু তালেবসহ প্রায় ১৪/১৫ জনের উত্তেজিত লোকজন সড়ক থেকে এ সব বৃক্ষ কেটে ফেলে। পরে কর্তনকৃত এ সব বৃক্ষ ঠেলাগাড়ী যোগে পাচার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সব গাছের আনুমানিক মুল্য হবে লক্ষাধিক টাকা। তারা দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রিত সড়কের পাশ থেকে এ সব গাছ জোর করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান শিক্ষক নুরুল হোসাইনের পুত্র ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ব্রিটিশ ব্রড কাস্টিং (বিবিসির) সাবেক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসাইন জানায়, এ সব গাছ আমরা রোপন করছিলাম। এবিসি সড়কের এ অংশে সবুজ বেষ্টুনী সৃজিত হয়েছে। আমরা এ সব বৃক্ষ রক্ষনাবেক্ষন করছিলাম।
তবে সড়কের এ সব বৃক্ষ আমরা বনবিভাগকে হস্তান্তর করেছি। তারা গাছগুলি অন্যায়ভাবে জবরদস্তি কেটে নিয়ে গেছে। এটি সবুজায়ন ও পরিবেশের প্রতি চরম শত্রুতামি। অন্য দিকে বিপুল সরকারী সম্পদ তারা লুট করেছে।
Posted ১১:৪৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৪ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta