নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৫ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় পুলিশ উদ্ধার করল গ্রাম পুলিশকে। রাতে মহিলার সাথে কথোপকথন হয়েছে মুঠোফোনে। এ সময় ওই মহিলা গ্রাম পুলিশকে তার বাড়িতে আসতে বলেন। এ সময় স্থানীয়রা গ্রাম পুলিশকে ওই মহিলার বাড়ি থেকে আটক করে। এক পর্যায়ে এক সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে তাকে রাতে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে পরের দিন সকালে ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রাম পুলিশ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
শনিবার সকাল ১০ টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পেন্ডারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রাম পুলিশের নাম রাজা মিয়া(৫২)। তিনি টইটং ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাজা মিয়াকে আটক করে একটি বাড়ি থেকে।
এ সময় বিক্ষুদ্ধ লোকজন তার বিরুদ্ধে ক্ষেপে যান। টইটং ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য শাহাদাত হোসাইন তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গ্রাম পুলিশ রাজা মিয়া ও পেন্ডারপাড়ার জাফর আলমের ২য় স্ত্রী জিগারা বেগম এর মধ্যে প্রায় সময় মুঠোফোনে যোগাযোগ ছিল। ওই দিন টইটং ইক্বরা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এ সুবাধে লোকজন সেখানে সমাগম ঘটে। পার্শ্ববর্তী স্থানে জাফর আলমের বাড়ি। সেখানে রাজামিয়াকে স্থানীয়রা আটক করে। গ্রাম বাসীরা জানায়, রাজা মিয়া দু:চরিত্রের।
তার পূর্ব থেকে নৈতিক স্খলন জনিত ভাব প্রকাশ পায়। অপর একটি সুত্রের দাবী গত ইউপি নির্বাচনে যুবদল নেতা শাহাদাত হোসাইন ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। ফৌজধারী একাধিক মামলা থাকায় তিনি শপথ নেন নি।
ইউপিতে তার ওয়ার্ডটি সাধারন সদস্যপদটি বিলুপ্তি হয়েছে। রাজা মিয়া ওই ওয়ার্ডে রিলিপ বিতরনসহ ইউপির কার্যক্রমে সম্পৃক্ত। এ সুবাধে তার সাথে শত্র“তা ভাব তৈরী হয়েছে। ওই দিন ওই মহিলাকে দিয়ে তাকে চক্রান্তে ফাঁসাতে জাল পাতানো হ য়েছিল। তবে স্থানীয়রা জানায়, রাজা মিয়া অত্যন্ত দুশ্চরিত্রের।
জাফর আলমের স্ত্রী জিগারা বেগম জানায়, সে আমাকে বিরক্ত করত। আমি ও আমার স্বামী ওই দিন ওই লম্পটকে আটকাতে একমত ছিলাম। স্থানীয়দের সহায়তায় আটকিয়ে তাকে মেম্বারের কাছে দিয়ে দিই।
রাজা মিয়া জানায়, আমার কোন দোষ ছিল না। তারা আমার প্রতিবেশী। প্রায় সময় কথাবার্তা বলি। ওই মহিলার স্বামী ছিল। গল্প গুজব করতে গিয়েছিলাম।
টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, গ্রাম পুলিশ অন্যায় করলে তারা পরিষদে সোপর্দ করত। আমি তো অন্যায়কে কখনোও প্রশ্রয় দেয়নি। অথচ সেটি না করে তারা তাকে সারারাত আটকিয়ে রেখেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
অন্যায়ভাবে কেউ গ্রাম পুলিশকে নিয়ে খেললে যেমন তাকেও সুযোগ দেব না। একইভাবে গ্রাম পুলিশের চারিত্রিক বিষয়টি প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।
Posted ১:৩১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta