নাজেম উদ্দিন,পেকুয়া(২৭ অক্টোবর) :: পেকুয়ায় দিনমজুরের ঘিরা বেড়া ভাংচুর করল দুবৃর্ত্তরা। ঘটনার জের ধরে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচোরা ঠান্ডারপাড়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। রাতে প্রভাবশালীপক্ষ দিনমজুরের বসতবাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ঘিরা বেড়া ভাংচুরসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়।
স্থানীয়রা জানায়, সুতাচোরা এলাকায় পাউবোর মালিকানাধীন জায়গা নিয়ে মৃত ফজল করিমের ২য় স্ত্রী মাহাবুবা বেগম ও স্বামীর আগের ঘরের সন্তান আবু তৈয়বের বিরোধ দেখা দেয়। কাটাফাড়ি নদীর জেগে উঠা চর আবু তৈয়ব পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর অধিদপ্তর থেকে লীজ নেন। জায়গাটি তাদের বসতবাড়ির সম্মুখ ভাগের মাথাখিলা অংশ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাউবো ওই জায়গা দু’দফায় আবু তৈয়বকে ইজারা প্রদান করে। ০.১৩ একর জায়গা গত বছরের ১০ আগষ্ট পাউবো থেকে ইজারা প্রাপ্ত হন আবু তৈয়ব। পাউবোর এল-১১/৩০১৫ স্মারকমুলে ৬-১০-১৬ ইংরেজীতে তিনি লীজ প্রাপ্ত হন।
২০২১ সালের ১০ মে পর্যন্ত ওই জায়গা তার নিয়ন্ত্রাধীন থাকবে। এ দিকে জায়গা নিয়ে আবু তৈয়বের সাথে সৎ মা মাহাবুবা বেগমের দ্বন্ধ দেখা দেয়। ওই নারী গত কয়েক বছর আগে পৈত্রিক ভিটার তার প্রাপ্ত অংশ বিক্রি করে নি:স্বার্থবান হয়েছেন। তিনি স্বপরিবারে অন্য এলাকায় বসবাস করেছেন। সৎ মার অংশ টুকু খরিদ করতে স্বামীর প্রথম ঘরের সন্তান আবু তৈয়ব সৎ মাকে হারাহারি মুল্যে খরিদ করার প্রস্তাব দেন।
তবে ওই মহিলা স্বামীর এ জায়গা আবু তৈয়বকে হস্তান্তর করেন নি। বাহিরের এক ব্যক্তিকে বিক্রি করে জায়গার দখল দিয়েছেন। এ নিয়ে সৎ মায়ের সাথে ¯œায়ু দ্বন্ধ ছিল। স্বত্তের বিষয়ে আপত্তি উত্তাপিত হয়েছে। উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে মামলা হয়েছে দুটি। পৃথক মামলায় শুনানীতে কাগজপত্র জায়গার সরেজমিন স্থিতিবস্থা নিরুপন করা হয়েছে।
পর্যালোচনা শেষে গ্রাম আদালত আবু তৈয়বের পক্ষে রায় প্রচার করে। গ্রাম আদালতের রায়ের দুটি পৃথক কপি আবু তৈয়ব সংরক্ষন করেছেন। বাড়ি নির্মাণ করতে আবু তৈয়ব মাটি কেটে ভিটে তৈরী করেছে। তবে সৎ মা মাহাবুবা রাতে ওই জায়গা জবর দখলে চেষ্টা চালায়।
স্থানীয়রা জানায়, ঠান্ডারপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে আবুল কাশেম ভাড়াটে লোকজনসহ রাতে তৈয়বের বসতবাড়িতে হানা দেয়। তারা উত্তেজিত হয়ে সেখানে ব্যাপক ঘিরা বেড়া ভাংচুর চালায়।
শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে ফের জায়গা দখলের চেষ্টা করে তারা। এ সময় স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাদের প্রতিহত করেছে।
উজানটিয়ার চেয়ারম্যান এম, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, বিষয়টি আমার এখানে নিষ্পত্তি হয়েছে। ফজল করিমের ২য় স্ত্রী অহেতুক বাড়াবাড়ি করছে। স্বামীর প্রাপ্ত অংশ সে বিক্রি করে দিয়েছে। আবু তৈয়ব জায়গাটি শাসিয়ত করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড চরের জায়গাটি তাকে লীজ দিয়েছে। ১৫ হাজার টাকা সৎ মাকে মেয়ের বিয়ে দিতে আবু তৈয়ব সাহায্য করেছে। এখন এ দিনমজুরকে অহেতুক হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করছে। তাকে আইনী সহায়তা অবশ্যই করতে হবে।
Posted ৮:২৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta