কক্সবাজারের পেকুয়ায় দোকানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাঠের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার(১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজাখালী ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার মোঃ মনিরের মুদির ও কুলিং কর্ণারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দোকানের মালিক মৃত গোলাম কবিরের ছেলে মোঃ মনির (৪০) মা জুহুরা বেগম (৮০) ও স্ত্রী রোমা অাকতার(২৮) অাহত হয়েছেন। অাহতেরা পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দোকানের মালিক অাহত মোঃ মনির বলেন, একই এলাকার শহর অালীর পুত্র মোঃ মানিকের নেতৃত্বে অাবুল হাশেম, হেলাল উদ্দিন, অাইয়ুব অালী, অাবুল কালাম, অানার কলি, মায়ানী বেগমসহ অারো কয়েকজন অামার দোকানে ৩ দফা হামলা চালায়। তাদের মধ্যে অাবুল হাশেমের ছেলে হেলাল উদ্দিন তার দলবল নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অামার দোকানে বসে মদ পান ও জুয়া খেলার চেষ্টা করে। অামার ছেলে শাহিন অালম তাদেরকে বাধা প্রদান করলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় তারা অামাকে দোকান থেকে বিতাড়িত করতে প্রাণে হত্যার জন্য দোকানে হামলা চালায়।
তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর কারণে এলাকাবাসীরা এগিয়ে অাসতে ভয় ফেলেও অামার মা ও স্ত্রী অামাকে হামলা থেকে বাঁচাতে তাদেরকে বাধা প্রদান করেন। ওই সময় তাদের হামলায় তারা দুইজন গুরুতর অাহত হন। অাহত হওয়ার পাশাপাশি তাদের দুইজন থেকে ব্যবহৃত প্রায় ৬০হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। দোকান থেকে চলে যাওয়ার অাগে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটও চালায় তারা। টিভি, ফ্রিজসহ অন্যান্য মালামাল লুটের কারণে লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়। ভাংচুরের ফলে প্রায় ৫০ হাজার ও ক্যাশ বক্স থেকে প্রায় ৩০হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। ঘটনার পরপর রাজাখালী বিটের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তিনি অারো বলেন, শনিবার রাতের দিকে অামার ভাগনে রোমানকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের কারণে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এখন তারা সংঘবদ্ধ হয়ে মদ, ইয়াবা ডুকিয়ে দিয়ে অামাকে পুলিশ দিয়ে অাটক করার চেষ্টা করতেছে এবং মিথ্যাভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে অামি বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারছিনা। অামি হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ের থানায় এজাহার দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক অাইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অাবেদন করছি। এছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও প্রশাসনের উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অাবুল হাশেম বলেন, অামার ছেলের একটি মোবাইল মোঃ মনিরের দোকানে জমা রাখলে তার ভাগনে চুরি করে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বৈঠকের মাধ্যমে মোবাইলের দাম পরিশোধ করার কথা ছিল। টাকার জন্য তার দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে হাতাহাতি হয়েছে তবে ভাংচুর ও লুটপাঠের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পরপর স্থানীয়রা অামাকে অবগত করলে রাজাখালী বিট থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।