তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। প্রায় ৫ দিন অজ্ঞান ছিল।
চমেকের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তাকে রাখা হয়েছিল। পেকুয়া থানা পুলিশ একজনকে আটক করে।
মঙ্গলবার ১০ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আটককৃত যুবকের নাম আবদুল গফুর প্রকাশ খোকন(১৮)। তিনি শেরআলী মাষ্টার পাড়ার বশির আহমদের ছেলে।
ধর্ষিতার নাম সংগত কারনে গোপন রাখা হল। তবে মেয়েটি টইটং উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন রাতে ওই ছাত্রী পানি আনতে পাশর্^বর্তী একটি বাড়ির নলকুপে যায়। এ সময় তাকে বিলের ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে।
ভিকটিমের মা জানায়, আমি চট্রগ্রাম থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পৌছি। মেয়ে রান্না বান্না শেষ করে নলকুপে রাত ৮ টার দিকে পানি আনতে গিয়েছিল। কিছুক্ষন তাকে খোঁজছিলাম।
এ সময় উঠানে এসে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। প্রচুর রক্তক্ষরন হচ্ছিল। তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫ দিন অজ্ঞান ছিল। মেয়ের মামা মামুন ও পিতা জানায়, ধর্ষনের বিষয়ে মেয়ে সরাসরি মুখ খোলেছে।
তার জবানবন্দী মতে আবদুল গফুর প্রকাশ খোকনকে আসামী করে থানায় এজাহার দিয়েছি। লবণের মাঠ থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেশী মৃত সোলতান আহমদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৫০), মাদ্রাসা ছাত্রী ফাহিমা সোলতানা(১৪), ৯ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী মিফতাহুল জন্নাত(১৫), ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসমিন সোলতানা সহ আরও স্থানীয়রা জানায়, ওই মেয়ের সাথে আবদুল গফুর খোকনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গোসল করার সময় এ মেয়ে খোকনকে নলকুপ ছাপিয়ে দিতেন।
একবার খোকনের মা বকাঝকাও করে। কিছুদিন গোপনে সম্পর্ক করে। ওই দিন সে স্কুল থেকে দুপুরের দিকে চলে এসেছিল। তারা দু’জনের সম্পর্কের মাধ্যমে হয়েছে।
পেকুয়া থানার এস,আই বিপুল চন্দ্র রায় জানায়, অভিযুক্তকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Posted ১০:৩১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta