নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৮ সেপ্টম্বর) :: পেকুয়ায় ধর্ষণের বিষয়টি অমিমাংসিত থেকে গেছে ৪ বছর ধরে। ৩য় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করে। ডাক্তারী পরীক্ষায় মেয়েটি ধর্ষন হয়েছে মর্মে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
আসামী আদালতে হাজির হননি। আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। গত ৪ বছর ধরে আসামী আইনকে ফাকি দিয়ে চলাফেরা করছে এলাকায়।
তবে ছাত্রী ধর্ষনের বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে আসামী বিদেশ পালানোর চেষ্টা করছে বলে ভিকটিমের পরিবার দাবী করছেন।
প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ১০ আগষ্ট পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী এলাকায় ৩য় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। শিক্ষার্থী অন্য সহপাঠীদের নিয়ে বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিলেন। এ সময় পানি পান করার কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষক যুবক বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ সময় বাড়ির একটি কক্ষে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। মেয়েটি আর্তচিৎকার করছিলেন। ওই যুবক তাকে মুখ চেপে ধরে। এক পর্যায়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষন করে। ছাত্রীর মা জানায়, আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। এ সুবাধে আমার মেয়েকে ওই ছেলে ধর্ষণ করে।
এর ১০ দিন পর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলা রুজু করে। মামলায় আসামী করা হয়েছে টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী পেন্ডারপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার(২০)কে।
আদালত ২০১৪ সালে আসামীর বিরুদ্ধে জিআর ১০৬/১৩ মামলায় আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। ছাত্রীর মা জানায়, আমরা অত্যন্ত অসহায়। আমার স্বামী দিন মজুর। আসামী প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে নেই কোন ব্যবস্থা। আমার মেয়ে কলংকিত হয়েছে।
সে ঘটনার পর থেকে লজ্জায় আর কোথাও বের হচ্ছে না। পড়ালেখা শেষ করে দিয়েছে একটি বর্বরতায়। এখন আসামী বিদেশ পালানোর চেষ্টা করছে। আমি মেয়ের সম্মান চাই। সে পালিয়ে গেলে আমার মেয়েটির কি হবে?
Posted ৬:৫৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta